প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী মিগুয়েল উরিবেকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটল কলম্বিয়ায়। সে দেশের বোগোটায় একটি জনসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় কেউ তাঁকে পিছন থেকে গুলি করেন। সঙ্গে সঙ্গে মঞ্চে লুটিয়ে পড়েন তিনি। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, মিগুয়েলের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, আততায়ী খুব কাছ থেকে মিগুয়েলকে লক্ষ্য করে পর পর তিন বার গুলি চালান। দু’টি গুলি লেগেছে তাঁর মাথায়, একটি গলায়! তবে হাসপাতাল বা সরকারের তরফে এই বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানানো হয়নি। মিগুয়েলের উপর গুলি চালানোর ঘটনা ধরা পড়েছে উপস্থিত জনতার ক্যামেরায়। তেমনই বেশ কয়েকটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়েছে। সেই সব ভিডিয়োতে দেখা যায়, বক্তৃতার মাঝেই কেউ তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। বিকট শব্দ হয়। সঙ্গে সঙ্গে তিনি পড়ে যান নীচে। কিছু ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, মিগুয়েলকে রক্তাক্ত অবস্থায় ধরাধরি করে অ্যাম্বুল্যান্সে তোলা হচ্ছে। যদিও এই সব ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
৩৯ বছর বয়সি মিগুয়েল কলম্বিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আলভারো উরিবের প্রতিষ্ঠিত ডেমোক্র্যাটিক সেন্টার পার্টির সদস্য। কলম্বিয়ার জাতীয় রাজনীতিতে তিনি খুবই জনপ্রিয়। ২০২২ সাল থেকে সেনেটর পদে রয়েছেন তিনি। অতীতে বোগোটার সরকারি সচিব এবং সিটি কাউন্সিলরও হয়েছিলেন। ২০২৬ সালের প্রেসিডেন্ট ভোটে তিনি লড়ছেন বলে ঠিক ছিল। তাঁর পরিবার রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তাঁর বাবা পেশায় ব্যবসায়ী হলেও ইউনিয়ন নেতা ছিলেন। তাঁর মা ছিলেন সাংবাদিক। ১৯৯০ সালে এক মাদক ব্যবসায়ী পাবলো এসকোবার তাঁকে অপহরণ করেন। ওই সাংবাদিককে উদ্ধারের আগেই খুন করা হয়। মিগুয়েলের দাদা জুলিও টারবে কলম্বিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
আরও পড়ুন:
মিগুয়েলের গুলি লাগার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দেশে। কলম্বিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ় হাসপাতালে গিয়ে মিগুয়েলের সঙ্গে দেখা করে এসেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এক জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে, কোনও নাবালক গুলি চালিয়েছিল। তবে এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত কি না, তারও খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।