Advertisement
E-Paper

অ্যান্টিবডিকে রুখতে ‘বর্মবস্ত্র’ পরে রয়েছে করোনাভাইরাস!

বিশ্ব জুড়ে মৃতের সংখ্যা আট লক্ষ ছুঁইছুঁই। আক্রান্ত দু’কোটিরও বেশি। এই পরিস্থিতিতে বিশ্বে প্রায় ৩০টি ভ্যাকসিন নিয়ে পরীক্ষা চলছে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০২০ ০৩:৩৪
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

ক্রমেই ঘনাচ্ছে ‘কাঁটা-রহস্য’। এত দিন জানা ছিল, নোভেল করোনাভাইরাসের গায়ের স্পাইক বা কাঁটাগুলোই সংক্রমণের মূল। সংক্রমিত হওয়ার পরে মানবদেহে অ্যান্টিবডি তৈরি হলে, তা প্রথমেই শেষ করে স্পাইক প্রোটিনকে। কিন্তু জার্মানির এক দল বিশেষজ্ঞ দাবি করলেন, অ্যান্টিবডিকে রুখতে ‘বর্মবস্ত্র’ পরে রয়েছে ভাইরাসও। ফলে স্পাইক প্রোটিনের ধারেকাছেও ঘেঁষতে পারে না ওই অ্যান্টিবডি। ‘সায়েন্স’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাপত্রটি।

আল্ট্রা-হাই রেজ়লিউশন মাইক্রোস্কোপি পদ্ধতির সাহায্যে পরীক্ষা করে জার্মানির ‘ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট অব বায়োফিজিক্স’-এর গবেষকেরা দাবি করছেন, ভাইরাসটির উপরিভাগে স্পাইক প্রোটিনকে ঢেকে রেখেছে শর্করা জাতীয়-অণু ‘গ্লাইক্যান’। কাঁটার মতো দেখতে স্পাইক প্রোটিনটির মাথার অংশ গোলাকার। নীচের অংশ একটি লম্বা স্ট্যান্ড। গবেষণাপত্রে লেখা হয়েছে: ‘‘এই স্ট্যান্ডটি বেশ নমনীয়। ব্যাপক ভাবে নড়াচড়া করতে পারে। সংক্রমিত কোষটিকে স্ক্যান করে ফেলে সে। এবং সেই অনুযায়ী গায়ে চাপিয়ে ফেলে গ্লাইক্যান-বর্ম।’’ ভাইরাসের এই চরিত্রটি প্রতিষেধক তৈরিতে সাহায্য করবে বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা।

আজই মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে, জানুয়ারির গোড়ায় করোনাভাইরাসের বিপদ সম্পর্কে বেজিংকে পুরো অন্ধকারে রেখেছিল হুবেই প্রদেশ ও উহানের স্থানীয় সরকার। এর জেরেই পরে এই ভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মক আকার নেয়। মার্কিন গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে এ বিষয়ে প্রমাণও আছে।

এর মধ্যেই প্রতিষেধক-বিতর্কে জড়িয়েছে অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের নাম। প্রথমে তিনি বলেছিলেন, তাঁর দেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য প্রতিষেধক হবে বাধ্যতামূলক। কিন্তু কিছু ক্ষণের মধ্যেই সেই মন্তব্য থেকে পিছু হটেন স্কট। অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ভ্যাকসিনই নেবে তাঁর দেশ। আর তিনি চান, অস্ট্রেলিয়ার ২.২ কোটি নাগরিকই যেন সেই ভ্যাকসিন নেন। এর পরেই অনেকে বলতে শুরু করেন, যে ভ্যাকসিন এখনও পুরোপুরি আবিষ্কারই হয়নি, তা সকলকে নেওয়ার জন্য কী ভাবে জোর করতে পারেন কোনও দেশের প্রধানমন্ত্রী। স্কট পরে বলেন, ‘‘যদি আদৌ সেই ভ্যাকসিন সুরক্ষিত ভাবে তৈরি হয়, তবেই তা আবশ্যিক করব।’’

আরও পড়ুন: ট্রাম্পের টক্করে মনোনীত বাইডেনই

বিশ্ব জুড়ে মৃতের সংখ্যা আট লক্ষ ছুঁইছুঁই। আক্রান্ত দু’কোটিরও বেশি। এই পরিস্থিতিতে প্রায় ৩০টি ভ্যাকসিন নিয়ে পরীক্ষা চলছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র প্রধান টেড্রস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাসের স্পষ্ট বক্তব্য, ভ্যাকসিন আবিষ্কার হলে প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে যাঁরা করোনার বিরুদ্ধে লড়ছেন, তাঁদেরই আগে সেটা দেওয়া হোক। এর পাশাপাশি ৬৫-র ঊর্ধ্বে যাঁদের বয়স, তাঁরা অগ্রাধিকার পাবেন।

ব্রাজিলের স্বাস্থ্য কমিশন গত কাল জনসন অ্যান্ড জনসনের প্রতিষেধককে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে। মার্কিন এই সংস্থাটি ব্রাজিলের ৭ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর উপরে খুব শীঘ্রই পরীক্ষা শুরু করবে বলে জানিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকাও ভরসা রাখছে মার্কিন সংস্থার তৈরি প্রতিষেধকেই। এক দিকে গোটা বিশ্ব যেমন প্রতিষেধক আবিষ্কারে ব্যস্ত, তখন নতুন করে এই ভাইরাস চোখ রাঙাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া, লেবাননের মতো বেশ কয়েকটি দেশে। সোলে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ২৯৭। টানা ছ’দিন শতাধিক সংক্রমিত হয়েছেন সেখানে। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আগে নাইটক্লাব, বুফে রেস্তরাঁ, জাদুঘর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সেখানে। নিষিদ্ধ করা হয়েছে জমায়েতও। লেবাননেও নতুন করে লকডাউন আর কার্ফু ঘোষণা করতে হয়েছে।

Coronavirus Vaccine
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy