সমাজমাধ্যম নিষিদ্ধ করার পর থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে নেপালে। যে বিক্ষোভের চাপে মঙ্গলবার পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। গণবিদ্রোহে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে ভারতের উত্তরের এই পড়শি দেশ। কিন্তু নেপাল তো প্রথম নয়। এর আগেও নানা সময়ে নানা দেশ ফেসবুক, এক্স-এর মতো সমাজমাধ্যমর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। কোথাও কোথাও সেই নিষেধাজ্ঞা এখনও রয়ে গিয়েছে।
মায়ানমার: ২০২১ সালে মায়ানমারে সেনাশাসন জারি হয়েছিল। ক্ষমতা দখলের পর জনগণের জন্য ফেসবুক ব্যবহার নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল সে দেশের সেনা। তাদের যুক্তি ছিল, ভুয়ো খবর ছড়ানো আটকাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরে এই নিষেধাজ্ঞা হোয়াট্সঅ্যাপ, টেলিগ্রাম, ইনস্টাগ্রামের মতো প্ল্যাটফর্মের উপরও জারি করা হয়। এই মুহূর্তে মায়ানমারে সমাজমাধ্যম সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ না হলেও তা ব্যবহারে একাধিক বিধিনিষেধ রয়েছে।
আরও পড়ুন:
ইরান: ২০০৯ সালে প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমেদিনেজাদের বিরুদ্ধে দেশজোড়া প্রতিবাদের মুখে ইরান সরকার ফেসবুক এবং তৎকালীন টুইটার (বর্তমানে এক্স) নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল। তার পর থেকে সে দেশের মানুষ প্রতিবাদের মাধ্যম হিসাবে ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করছিলেন। ২০২২ সালে তা-ও বন্ধ করে দেওয়া হয়। এখনও ইরানে এই সমাজমাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলি নিষিদ্ধ।
চিন: ফেসবুক, এক্স, ইনস্টাগ্রাম বিভিন্ন সময়ে চিনে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ২০০৯ সালে সে দেশের সরকার ফেসবুক নিষিদ্ধ করেছিল। তার কিছু দিন পরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল এক্স। ২০১৪ সালে ইনস্টাগ্রামও নিষিদ্ধ করে বেজিং। তবে চিনের নাগরিকদের ব্যবহারের জন্য সরকার আলাদা করে বিশেষ সমাজমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে। ইউটিউবও চিনে নিষিদ্ধ।
উত্তর কোরিয়া: ফেসবুক, হোয়াট্সঅ্যাপ, ইউটিউবের মতো কোনও সমাজমাধ্যমই উত্তর কোরিয়ায় ব্যবহৃত হয় না। সেখানকার প্রশাসক কিম জং উন প্রথম থেকেই সে সব নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন।
সিরিয়া: ২০১১ সালে সিরিয়ায় সমাজমাধ্যমের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। ফেসবুক, এক্স, ইনস্টাগ্রাম সিরিয়ায় নিষিদ্ধ।
রাশিয়া: ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম রাশিয়ায় পুরোপুরি নিষিদ্ধ। ইউটিউব, এক্স-এ বিধিনিষেধ রয়েছে।
এ ছাড়া, ব্রাজ়িলে ২০২৪ সালের অগস্ট থেকে এক্স, আমেরিকা, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, তাইওয়ানে সরকারি কাজে ব্যবহৃত ডিভাইসে টিকটক নিষিদ্ধ। ভারতে ২০২০ সাল থেকে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ টিকটক।