হাসপাতালগুলিতে কোভিড আক্রান্তদের ভর্তির সংখ্যা বাড়ছে। ছবি: রয়টার্স।
ডেল্টার প্রভাব এখনও কাটেনি, তার মধ্যেই ওমিক্রন এসে হাজির। আর কোভিডের এই দুই রূপের চাপে আগামী দিনে স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে। আশঙ্কা প্রকাশ করে এমনই সতর্কবার্তা দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)।
হু প্রধান টেড্রস অ্যাডানম গেব্রেয়েসুস বলেছেন, “ওমিক্রনের সংক্রমণের হার এত বেশি যে এটা যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। যে হারে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে কোভিডের সুনামি আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।” তাঁর কথায়, “যদি এমনটা হয় তা হলে স্বাস্থ্যকর্মী এবং স্বাস্থ্যব্যবস্থার উপর বিপুল চাপ তৈরি হবে। এমনকি স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়ার মতো পরিস্থিতিও তৈরি হতে পারে।”
হু প্রধান আরও জানান, করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য যে স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়বে এমনটা নয়। বিপুল সংখ্যক স্বস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হচ্ছেন। ফলে যাঁদের উপর স্বাস্থ্যব্যবস্থা নির্ভরশীল তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়ার দিকেই এগোবে।
ইতিমধ্যেই বিশ্বের বহু দেশে ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়েছে। গত এক সপ্তাহে গোটা বিশ্বে কোভিড সংক্রমণের সংখ্যা ১১ শতাংশ বেড়েছে। ব্রিটেন, ফ্রান্স-সহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে ডেল্টাকে সরিয়ে ইতিমধ্যেই চালিকাশক্তির ভূমিকা নিয়েছে ওমিক্রন। দিনে এক লক্ষেরও বেশি করে দৈনিক সংক্রমণ হচ্ছে। আমেরিকাতে সংক্রমণের ছবিটাও ঠিক এক রকম।
ভারতেও চলতি মাসে আক্রান্তের সংখ্যা এক লাফে অনেকটা বেড়েছে। ওমিক্রনের আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়ে প্রায় হাজারের কাছাকাছি পৌঁছেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৯৬১। শীর্ষে রয়েছে দিল্লি। তার পরই মহারাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ১৫৪ জন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy