Advertisement
E-Paper

উদ্ধার হওয়া ধ্বংসাবশেষ এমএইচ৩৭০-র

তানজানিয়া উপকূলের পেম্বা দ্বীপে গত জুন মাসে উদ্ধার হয়েছিল বিমানের ডানার একটি বড় টুকরো। আজ মালয়েশিয়া সরকার জানিয়ে দিল, সেটি দু’বছর আগে রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ উড়ান এমএইচ-৩৭০-র ধ্বংসাবশেষের অংশ।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৩:০৬
নিখোঁজ বিমান এমএইচ৩৭০-এর অংশ। —রয়টার্স

নিখোঁজ বিমান এমএইচ৩৭০-এর অংশ। —রয়টার্স

তানজানিয়া উপকূলের পেম্বা দ্বীপে গত জুন মাসে উদ্ধার হয়েছিল বিমানের ডানার একটি বড় টুকরো। আজ মালয়েশিয়া সরকার জানিয়ে দিল, সেটি দু’বছর আগে রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ উড়ান এমএইচ-৩৭০-র ধ্বংসাবশেষের অংশ।

আজ মালয়েশিয়ার পরিবহণ মন্ত্রী লিয়াও তিয়ং লাই এক বিবৃতিতে এই ঘোষণা করেন। কী ভাবে এতটা নিশ্চিত হলেন তাঁরা?

বিমানের ওই টুকরোটি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ায়। সে দেশের তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, মূল নির্মাতা সংস্থার জন্য বিমানের বহু যন্ত্রাংশ তৈরি করে থাকে বিভিন্ন সহযোগী সংস্থা। তবে এমন প্রায় সমস্ত যন্ত্রাংশেই সহযোগী সংস্থার একটি অভিন্ন ‘পার্ট নম্বর’ ছাপা থাকে। আর থাকে একটি অভিন্ন সিরিয়াল নম্বর এবং তারিখ। এ সবের সূত্র ধরে হদিস পাওয়া সম্ভব, কোন সংস্থার ঠিক কোন বিমানটির জন্য ওই যন্ত্রাংশ তৈরি হয়েছিল। তানজানিয়া উপকূলের ওই দ্বীপে উদ্ধার হয়েছে বোয়িং বিমানের ডানার একটি ‘আউটবোর্ড ফ্ল্যাপ’-এর অংশ। সেটি বোয়িংয়ের জন্য তৈরি করে একটি সহযোগী সংস্থা। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, ওই আউটবোর্ড ফ্ল্যাপের নম্বরগুলি মিলে যাচ্ছে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং-৭৭৭-এর সঙ্গে। সেটিই এমএইচ-৩৭০।

২০১৪ সালের মার্চ মাসে ২৩৯ জন যাত্রী নিয়ে কুয়ালা লামপুর থেকে বেজিং যাওয়ার পথে রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হয়ে যায় এমএইচ-৩৭০। উপগ্রহ চিত্র ও বিমানের সঙ্কেত বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছিল, হারিয়ে যাওয়ার আগে বিমানের সর্বশেষ অবস্থান ছিল দক্ষিণ ভারত মহাসাগরে। বেশ কয়েকটি দেশ যৌথ ভাবে বিমানটির সন্ধানে নামে। অস্ট্রেলিয়া এই তল্লাশি অভিযানে নেতৃত্ব দেয়। কিন্তু বিমানটির সন্ধান পাওয়া যায়নি।

এর পর গত দু’বছরে নানা জায়গা থেকে উদ্ধার হয়েছে বিমানের ধ্বংসাবশেষ। ছড়িয়েছে জল্পনা। ২০১৫ সালের জুন মাসে ভারত মহাসাগরের রিইউনিয়ন দ্বীপ থেকে মেলে বিমানের ডানার একটি অংশ। সে বার মালয়েশিয়ার খোদ প্রধানমন্ত্রী নজীব রাজাক জানিয়ে দিয়েছিলেন, ওই ভগ্নাংশ এমএইচ-৩৭০ উড়ানেরই। যদিও যাত্রীদের একাংশ তা মানতে চাননি। এর পর গত ডিসেম্বরে মোজাম্বিক উপকূলে বিমানের একটি অংশ খুঁজে পেয়েছিলেন এক পর্যটক। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সেই মোজাম্বিক উপকূলেই অন্য একটি অংশ আবিষ্কার করেন এক মার্কিন আইনজীবী। তবে সেগুলি এমএইচ-৩৭০-র কি না, নিশ্চিত হতে পারেননি তদন্তকারীরা।

কী ভাবে মাঝ আকাশ থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল বিমানটি, সে রহস্যের অবশ্য সমাধান আজও হয়নি। পেম্বা দ্বীপ থেকে পাওয়া এক টুকরো ডানা সেই অন্ধকারে কোনও আলোকপাত করে কি না, সেটাই এখন দেখার।

Debris of MH370 Tanzania
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy