Advertisement
২৪ মে ২০২৪

‘ধামাচাপাও দিতে পারে না’, ফের বেঁফাস ট্রাম্প

সংবাদ সংস্থাসৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করেই চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবং তাঁর এই ‘নরম’ মনোভাবের পিছনে যে ১১ হাজার কোটি ডলারের সৌদি-মার্কিন অস্ত্র চুক্তি রয়েছে, তা-ও স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন।

মর্মাহত! বুধবার রিয়াধে সৌদি যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন। রয়টার্স

মর্মাহত! বুধবার রিয়াধে সৌদি যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন। রয়টার্স

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০১৮ ০১:৪৪
Share: Save:

দিন কয়েক আগে বলেছিলেন, ‘‘সাংবাদিক খুনের ব্যাপারে যুবরাজের কিছু না-জানাটা অসম্ভব নয়।’’ কাল বললেন, ‘‘আমি চাই, সব সত্যি সামনে আসুক।’’ আর আজ বললেন, ‘‘এত বাজে ভাবে ধামাচাপা দেওয়ার ঘটনা আগে কখনও দেখিনি!’’

সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করেই চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবং তাঁর এই ‘নরম’ মনোভাবের পিছনে যে ১১ হাজার কোটি ডলারের সৌদি-মার্কিন অস্ত্র চুক্তি রয়েছে, তা-ও স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। ইরানকে ‘বাগে আনতে’ যে চুক্তি আমেরিকার পক্ষে খুবই জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প নিজেই।

পশ্চিম এশিয়ায় চূড়ান্ত ক্ষমতা কায়েম করার লক্ষে সৌদি আরব বনাম ইরানের টানাপড়েন নতুন কিছু নয়। এবং সেই দ্বৈরথে আমেরিকা চিরকালই মদত জুগিয়ে এসেছে। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মতো এত খোলাখুলি নয়, অনেকটাই প্রচ্ছন্ন ভাবে। খাশোগি খুনের পরেও সৌদি আরব ও সেখানকার রাজ পরিবারের প্রতি ট্রাম্পের নরম মনোভাব দেখে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রৌহানি বুধবার মন্তব্য করেন, ‘‘মার্কিন মদত ছাড়া কোনও দেশ এ রকম ন্যক্করজনক কাজ করতেই পারে না।’’

আজ রিয়াধে বিনিয়োগ সম্মেলন ‘দাভোস ইন ডেজ়ার্ট’-এ এক আলোচনাসভায় সৌদি যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন অবশ্য বলেছেন, ‘‘খাশোগির মৃত্যুতে আমি মর্মাহত। সারা দেশ নিহত সাংবাদিকের জন্য কাঁদছে। তুরস্কের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আমরা তদন্ত চালাচ্ছি। দোষীরা শাস্তি পাবেই।’’ আলোচনাসভার একটু আগে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এর্দোয়ানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন সৌদি যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন। কূটনৈতিক সূত্রে খবর, যুবরাজের অনুরোধেই এই ফোনালাপের ব্যবস্থা করা হয়। গত ২ অক্টোবর ইস্তানবুলের সৌদি দূতাবাসেই খুন হয়েছিলেন খাশোগি। তাঁর তুর্কি বান্ধবী হাতিস সেনগিসকে বিয়ে করার জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা দিতে সে দিন সৌদি দূতাবাসে দিয়েছিলেন খাশোগি।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বেফাঁস মন্তব্য করলেও ওয়াশিংটন অবশ্য রিয়াধের চাপ বজায় রাখছে। খাশোগি-খুনে জড়িত থাকতে পারে, এমন ১৮ জন সৌদি কূটনীতিকের মার্কিন ভিসা বাতিল করার কথা ঘোষণা করেছেন বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়ো। ইউরোপের তিন শক্তিধর রাষ্ট্র— ব্রিটেন, জার্মানি ও ফ্রান্সও সৌদির উপর চাপ বাড়াচ্ছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে বুধবার পার্লামেন্টে ঘোষণা করেন, ‘‘খাশোগি-হত্যায় জড়িতদের কোনও ভাবেই আমাদের দেশে ঢুকতে দেব না। তাদের যদি ব্রিটিশ ভিসা থাকে, তা এখনই বাতিল করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Donald Trump Controversy Jamal Khashoggi
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE