—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
বাংলাদেশের সংসদ সদস্য আনওয়ারুল আজিম ‘খুনের’ ঘটনায় বাংলাদেশ পুলিশ যে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে, তাঁদের জেরা করতে বাংলাদেশে পৌঁছেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডির একটি দল। বৃহস্পতিবারই ঢাকায় পৌঁছেছেন সিআইডির গোয়েন্দারা। ‘খুন’ সম্পর্কে এখনও অনেক প্রশ্নের উত্তর অধরা। তার খোঁজেই বাংলাদেশে গিয়ে ধৃতদের জেরা করবেন গোয়েন্দারা।
বৃহস্পতিবার এই ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত সন্দেহভাজন এক যুবককে পশ্চিমবঙ্গ থেকে আটক করেছে সিআইডি। তাঁর নাম জুবের। তিনি সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। সিআইডি সূত্রে খবর, ‘খুনে’ অভিযুক্ত এক জন এই জুবেরের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। কেন তাঁর সঙ্গে দেখা করা হয়েছিল, আজিমের ‘দেহ লোপাটের’ সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সে বিষয়েও বাংলাদেশ থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে চান গোয়েন্দারা।
সিআইডির তদন্তে উঠে এসেছে, আজিম কলকাতায় আসার অনেক আগেই এখানে চলে এসেছিলেন অভিযুক্তেরা। শহরে বসেই তাঁরা ‘খুনের’ ছক কষেছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। দুই অভিযুক্ত কলকাতার সদর স্ট্রিটের একটি হোটেলে ছিলেন ২ মে থেকে ১৩ মে পর্যন্ত। উল্লেখ্য, ১২ তারিখ কলকাতায় আসেন আজিম। অর্থাৎ, তাঁর আসার অন্তত ১০ দিন আগে কলকাতায় এসে পড়েছিলেন ওই দুই অভিযুক্ত। তাঁরা হোটেল ছাড়েন আজিম আসার এক দিন পরেই। গোয়েন্দাদের অনুমান, এই ১০ দিন ধরে শহরে থেকে খুনের পরিকল্পনা করেছিলেন অভিযুক্তেরা।
সিআইডির সামনে এখন মূল প্রশ্ন, আজিমের দেহ কোথায়? কী ভাবে তা ‘লোপাট’ করা হল? গোটা পরিকল্পনার নেপথ্যে ‘মাস্টারমাইন্ড’ কে? ‘খুনের’ কারণ কী এবং পশ্চিমবঙ্গের কেউ এই ঘটনার সঙ্গে কোনও ভাবে জড়িত কি না। বাংলাদেশে গিয়ে ধৃতদের জেরা করে এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজবেন গোয়েন্দারা। বাংলাদেশ পুলিশের কাছ থেকেও সংগ্রহ করা হবে তথ্য।
গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় এসেছিলেন আজিম। প্রথমে তিনি উঠেছিলেন বরাহনগরের এক বন্ধুর বাড়িতে। সেখান থেকে দু’দিন পর নিখোঁজ হয়ে যান। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে ১৮ মে নিখোঁজ ডায়েরি করেন ওই বন্ধু। উদ্বিগ্ন পরিবারের সদস্যেরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সেখান থেকে যোগাযোগ করা হয় ভারত সরকারের সঙ্গে। তার পর সংসদ সদস্যের খোঁজ শুরু হয়।
পুলিশের অনুমান, নিউ টাউনের এক অভিজাত আবাসনের ফ্ল্যাটে ছিলেন আজিম। সেখানে খাটের কোণে, দরজার পাশে এখনও লেগে আছে ‘রক্তের দাগ’। ফ্ল্যাট থেকে পাওয়া গিয়েছে একটি গ্লাভ্সের খালি প্যাকেটও। আবাসনের সিসিটিভি ফুটেজে কয়েক জনকে ট্রলি ব্যাগ নিয়ে বেরোতে দেখা গিয়েছে। সেই ব্যাগেই আজিমের ‘দেহ লোপাট’ করা হয়েছে কি না, খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের মতে, বাংলাদেশে গিয়ে সেখানকার প্রশাসনের সঙ্গে কথা বললে এবং ধৃতদের জেরা করতে পারলে অনেক প্রশ্নের উত্তর মিলতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy