Advertisement
০৬ মে ২০২৪
সিরিয়ায় রাসায়নিক হানা

হতে পারে সেনা প্রত্যাঘাত, ইঙ্গিত ট্রাম্পের

সমালোচনা করেছিলেন প্রথমেই। কিন্তু সেখানে থেমে থাকেননি। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

মস্কো
শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০১৭ ০৩:৩৮
Share: Save:

সমালোচনা করেছিলেন প্রথমেই। কিন্তু সেখানে থেমে থাকেননি। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর কথায়, রাসায়নিক গ্যাস হামলার পরে আসাদ সরকার সব সীমা অতিক্রম করেছে। সিরিয়া এবং আসাদ সম্পর্কে তাঁর মনোভাব পাল্টে গিয়েছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর, রাতে মার্কিন কংগ্রেসের কয়েক জন সদস্যকে ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় রাসায়নিক হামলার জেরে আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে সামরিক প্রত্যাঘাতের কথা ভাবছেন তিনি

সিরিয়ায় এই গ্যাস হামলা নিয়ে বিশ্ব যখন নিন্দায় মুখর, তখন আসাদের একমাত্র বন্ধু বলতে রয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তাঁর সঙ্গে ট্রাম্পের সখ্যের কথাও সুবিদিত। কিন্তু এই মুহূর্তে সিরিয়া নিয়ে ট্রাম্প যে অবস্থান নিয়েছেন, তাতে রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া কী, তা জানতে আগ্রহী কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। রুশ প্রশাসন সূত্রে খবর, ট্রাম্প অবস্থান পাল্টে সিরিয়া সম্পর্কে কোন পথে হাঁটবেন, সেটা জানতে চায় তারাও।

এর আগে আসাদকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন ট্রাম্প। কিন্তু সিরিয়া সম্পর্কে এতটা কড়া প্রতিক্রিয়া তাঁর কাছ থেকে এই প্রথম। তবে সিরিয়া প্রসঙ্গে মার্কিন নীতি কী ভাবে পাল্টানো হবে, তা প্রাথমিক ভাবে জানাননি ট্রাম্প। এমনকী রাশিয়া আসাদের পাশে রয়েছে জেনেও পুতিন প্রশাসন সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করতে শোনা যায়নি মার্কিন প্রেসিডেন্টকে।

তাঁর বিদেশসচিব রেক্স টিলারসন অবশ্য বলেছেন, ‘এই হামলার জন্য আসাদই যে দায়ী, তাতে কো‌নও সন্দেহ নেই।’ তিনি জানান, আসাদকে ধারাবাহিক ভাবে সমর্থন করে এলেও এখন রাশিয়ার উচিত বিষয়টি নিয়ে ‘বিবেচনা’ করে দেখা। রাষ্ট্রপুঞ্জে মার্কিন দূত নিকি হ্যালিও রাশিয়াকে সতর্ক করে বলেছেন, তারা এই হামলার দায় এড়াতে পারে না। এই পরিস্থিতিতে রাশিয়া কি আসাদ সরকারের প্রতি সমর্থন বজায় রাখবে? প্রশ্ন করা হয়েছিল রুশ বিদেশ মন্ত্রকের কাছে। মন্ত্রকের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভার প্রতিক্রিয়া, ‘‘আসাদ সম্পর্কে রাশিয়ার অবস্থান স্পষ্ট। কিন্তু আমেরিকা কী ভাবছে?’’

ট্রাম্প এ দিন সামরিক প্রত্যাঘাতের ইঙ্গিত দেন। অতীতে বারবার তিনি আঙুল তুলেছেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার দুর্বল নীতির দিকে। বলেছেন, ২০১২-এ রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ নিয়ে আমেরিকা কড়া হুঁশিয়ারি দেয় সিরিয়াকে। তা সত্ত্বেও ঘৌতায় ফের রাসায়নিক হামলা হয়। প্রাণ হারান অন্তত ১৪০০ জন। সে বারও সিরিয়া সরকারের উপরেই দায় চাপে। ওবামা তখন সেনা পাঠানোর হুমকি দেন। যা ট্রাম্পের মতে, ‘ফাঁকা আওয়াজ’ ছাড়া কিছুই ছিল না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Donald Trump Syria
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE