Advertisement
E-Paper

শ্বেতাঙ্গ হিংসা নিয়ে ডিগবাজি ট্রাম্পের

প্রতিবাদী: অতি-দক্ষিণদের হয়ে ফের সরব হয়েছেন ট্রাম্প। তাই অ্যারিজোনার ফিনিক্সের কনভেনশন সেন্টারের বাইরে চলেছে তুমুল বিক্ষোভ। পুলিশের দিকে ধেয়ে এসেছে পাথর, বোতল। বিক্ষোভকারীদের হটাতে পেপার স্প্রে ছিটিয়েছে পুলিশও। ছবি: রয়টার্স।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০১৭ ০৩:০৬
প্রতিবাদী: অতি-দক্ষিণদের হয়ে ফের সরব হয়েছেন ট্রাম্প। তাই অ্যারিজোনার ফিনিক্সের কনভেনশন সেন্টারের বাইরে চলেছে তুমুল বিক্ষোভ। পুলিশের দিকে ধেয়ে এসেছে পাথর, বোতল। বিক্ষোভকারীদের হটাতে পেপার স্প্রে ছিটিয়েছে পুলিশও। ছবি: রয়টার্স।

প্রতিবাদী: অতি-দক্ষিণদের হয়ে ফের সরব হয়েছেন ট্রাম্প। তাই অ্যারিজোনার ফিনিক্সের কনভেনশন সেন্টারের বাইরে চলেছে তুমুল বিক্ষোভ। পুলিশের দিকে ধেয়ে এসেছে পাথর, বোতল। বিক্ষোভকারীদের হটাতে পেপার স্প্রে ছিটিয়েছে পুলিশও। ছবি: রয়টার্স।

পাক্কা এক ঘণ্টা কুড়ি মিনিট। ফিনিক্সের এক সভায় তার মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বুঝিয়ে দিলেন, কেন তাঁর নিজের দলেরই কেউ কেউ প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর ‘মানসিকতা এবং যোগ্যতা’ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন!

গত কাল ফিনিক্স কনভেনশন সেন্টারের সভায় ফের খুঁজে পাওয়া গেল সেই ‘রূঢ়’ প্রেসিডেন্টকে। যিনি ভার্জিনিয়ার শালর্টসভিলের শ্বেতাঙ্গ-হিংসা নিয়ে ‘অবিশ্বাস্য নয়া পারফরম্যান্সে’ চমকে দিলেন তাঁর হাজার হাজার সমর্থককে। সমালোচকদের ভাষায়, শার্লটসভিল নিয়ে অতীতে নিজের বলা কথার ইতিহাস-ভূগোল সবই তিনি পাল্টে দিলেন এক নিমেষে! আর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে দুষে গেলেন মার্কিন সংবাদমাধ্যমের নির্বাচিত কিছু গোষ্ঠীকে। তারাই নাকি তাঁর মুখের কথা পাল্টে বিভ্রান্ত করেছে মানুষকে।

যদিও প্রাথমিক ভাবে ওই বিক্ষোভ নিয়ে টুঁ শব্দও না করায় প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। পরে ‘‘হিংসার দায় দু’তরফেরই’’ বলে আর এক প্রস্ত হইচই বাঁধিয়েছিলেন।

অতি দক্ষিণ শ্বেতাঙ্গ ও নয়া-নাৎসি এবং তাঁদের বিরোধীদের একই পংক্তিতে বসিয়ে দোষারোপ করায় ট্রাম্পের অবস্থান নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। খেপে যায় রিপাবলিকানদের একাংশও। এ দিন সেই মন্তব্যের ধারপাশেও না গিয়ে (বলা ভাল, তা এক রকম মুছে ফেলে) ট্রাম্প বলেছেন, ‘‘শার্লটসভিলে যা ঘটেছে, তা আমেরিকার অন্তরে ছাপ ফেলে গিয়েছে।’’

ট্রাম্পের দাবি, তিনি গোড়া থেকেই অসহিষ্ণুতা এবং ঘৃণার বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে গলা তুলতে এতটুকু সময় নষ্ট করেননি তিনি। এই সব ব্যাখ্যার পরে মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের মন্তব্য, ‘‘আমি নয়া-নাৎসিদের সমঝে দিতে চাই। সব কিছু দিয়েই।’’

যদিও অতি-দক্ষিণ শ্বেতাঙ্গদের সুরে গলা চড়িয়ে তিনি বলে গেলেন, ‘‘দুর্বল মানুষই কনফেডারেট মূর্তি সরাতে চায়। ওরা আমাদের সংস্কৃতি কেড়ে নিতে চাইছে। আমাদের ইতিহাস কেড়ে নিতে চাইছে।’’

আরও পড়ুন: একটা ছবি বদলে দিল ট্রাম্পের মত, মার্কিন বাহিনী থাকছে আফগানিস্তানে

অতি দক্ষিণদের সাম্প্রতিক ‘বাড়বাড়ন্ত’ বিতর্কে নিজেকেই ‘আক্রান্ত’ ঠাওরেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এই প্রসঙ্গেই সংবাদমাধ্যমের ভূমিকার নিন্দায় ট্রাম্প বলেছেন, ‘‘ওদের লোক-ঠকানোর খেলাটা প্রকাশ্যে আনতে হবে। ওরা ভীষণ অসৎ। ওরাই ঘৃণ্য গোষ্ঠীদের এত কথা বলার সুযোগ করে দিচ্ছে।’’

শার্লটসভিল পেরিয়ে এর পর তিনি চলে যান মেক্সিকো সীমান্তে দেওয়াল তোলা প্রসঙ্গে। এই নিয়ে অনুগতদের তাঁর প্রতিশ্রুতি, ‘‘দেওয়াল তুলতে যদি সরকার অচল করতে হয়, তাতেও থামব না।’’ এই বিতর্কিত দেওয়াল তোলার জন্য মার্কিন কংগ্রেসের সায় দরকার ট্রাম্পের। কিন্তু দেওয়াল তোলার খরচ তুলতে আবার ডেমোক্র্যাটদের সমর্থন জরুরি রিপাবলিকানদের। সেই সমর্থন আদৌ মিলবে কি না, তা নিয়ে অবশ্য সংশয় রয়েছে।

বক্তৃতায় ট্রাম্পের যুক্তি, দেওয়ালের বিরোধিতা করে মার্কিন নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিচ্ছেন ডেমোক্র্যাটরা। আমেরিকা-মেক্সিকো সীমান্ত বরাবর ওই অংশে দেওয়াল তৈরি কতটা জরুরি— অভিবাসন অফিসাররা তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন বলে দাবি ট্রাম্পের। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে দেওয়ালই একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ উপায়, বলেছেন তাঁরা। সত্যিই যদি এই সিদ্ধান্ত রূপায়ণ আটকে যায়, তিনি সরকার অচল করার ঝুঁকি নিতেও প্রস্তুত বলে জানান ট্রাম্প। ঐকমত্যে না পৌঁছলে ১ অক্টোবর তেমনটাই ঘটতে পারে। কারণ ট্রাম্পের সাফ কথা, ‘‘মার্কিন নাগরিকরা অভিবাসন নিয়ন্ত্রণের পক্ষেই ভোট দিয়েছেন।’’

Donald Trump Racist White people ডোনাল্ড ট্রাম্প
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy