বিমানের ককপিটে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করছিল যাত্রীটি। অনেকে মিলে চেপে ধরে কোনও ক্রমে তাকে সিটে বসিয়ে দিল। তারপর মোটা সেলোটেপ দিয়ে তাকে সিটের সঙ্গে বেঁধে ফেললেন বাকি যাত্রীরা। উড়ানে জঙ্গি রয়েছে, সেই সন্দেহে ততক্ষণে চলে এসেছে দু’টি যুদ্ধ বিমান।
লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে হাওয়াই যাচ্ছিল আমেরিকান এয়ারলাইন্সের উড়ান ৩১। ছিলেন ১৮১ জন যাত্রী ও ছ’জন বিমানকর্মী। তুরস্কের বাসিন্দা অনিল উস্কান্লি তাঁর সিট-পকেটে ল্যাপটপ রেখেছেন দেখতে পান তাঁর পাশে বসা যাত্রী। ল্যাপটপটি সরাতে বলায় তুর্কি যুবকটি চেঁচামেচি শুরু করে। তার পরে উঠে ফার্স্ট ক্লাসে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখনকার মতো নিরস্ত করে তাকে আসনে ফেরানো হয়। তার কিছু পরে ফের উঠে দাঁড়ায় উস্কান্লি। হাতে ল্যাপটপ। মাথায় একটা তোয়ালে বাঁধা। এ বার সে সোজা ককপিটে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করে। জোর করে তাকে সিটে ফেরায় যাত্রীরা। ‘ডাক্ট টেপ’ দিয়ে সিটের সঙ্গে বেঁধে ফেলা হয় তাকে। জঙ্গিরা ল্যাপটপ ব্যবহার করে বিমান উড়িয়ে দিতে পারে এই আশঙ্কায় মধ্য এশিয়ার বিভিন্ন বিমানবন্দর থেকে কেবিন ব্যাগে ল্যাপটপ রাখার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমেরিকা। তাই ল্যাপটপ হাতে এক যাত্রীর এই কাণ্ডকারখানায় আতঙ্ক ছড়ায়। খবর যায় হোমল্যান্ড সিকিউরিটির কাছে। দু’টি যুদ্ধবিমান এসে এসকর্ট করে উড়ানটি গন্তব্যে পৌঁছে দেয়। হনলুলু বিমানবন্দরে নামার পরে উস্কান্লিকে গ্রেফতার করে এফবিআই।
পরে জানা যায়, উড়ান ছাড়ার কয়েক ঘণ্টা আগে লস অ্যাঞ্জেলেসেই বিমানবন্দরের ‘প্রবেশ নিষিদ্ধ’ এলাকায় ঢুকে এক বার আটক হয়েছিল উস্কান্লি। তখন জিজ্ঞাসাবাদ করে তাকে ছেড়ে দিয়েছিল পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy