Advertisement
১৯ মে ২০২৪

শরণার্থী কোটা বাতিলে সায় হাঙ্গেরির গণভোটে

শরণার্থী গ্রহণের ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোটা বাতিল করার পক্ষে ভোট দিলেন হাঙ্গেরির বিপুল সংখ্যক মানুষ। তবে ভোটদানের হার প্রয়োজনের তুলনায় কম। তাই এই ফলকে হাতিয়ার করে আপাতত ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে লড়াইয়ে নামতে পারছেন না হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্ট ভিক্তর ওরবান।

চলছে ভোটগ্রহণ। ছবি: এএফপি।

চলছে ভোটগ্রহণ। ছবি: এএফপি।

সংবাদ সংস্থা
বুদাপেস্ত শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৬ ০৩:১৮
Share: Save:

শরণার্থী গ্রহণের ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোটা বাতিল করার পক্ষে ভোট দিলেন হাঙ্গেরির বিপুল সংখ্যক মানুষ। তবে ভোটদানের হার প্রয়োজনের তুলনায় কম। তাই এই ফলকে হাতিয়ার করে আপাতত ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে লড়াইয়ে নামতে পারছেন না হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্ট ভিক্তর ওরবান। কিন্তু এই ভোটের ফলে ব্রেক্সিট-পরবর্তী যুগে ইউরোপীয় ঐক্যের ধারণায় ফের ধাক্কা লাগল বলে মনে করা হচ্ছে।

সিরিয়ার মতো লড়াইয়ে বিধ্বস্ত দেশ থেকে ইউরোপে আসা শরণার্থীদের গ্রহণ করা নিয়ে মতভেদ রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলির মধ্যে। কোটার ভিত্তিতে দেশগুলিতে নির্দিষ্ট সং‌খ্যায় শরণার্থী গ্রহণ করার পক্ষে সওয়াল করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেলের মতো নেতারা। আবার সরাসরি এর বিরোধিতা করেছেন দক্ষিণপন্থী ভিক্তর ওরবানের মতো নেতারা। এই বিতর্কে ভিক্তরের সমর্থনে রয়েছে প্রাক্তন কমিউনিস্ট দেশগুলির রাষ্ট্রনেতারা।

শরণার্থীরা ইউরোপে পা রাখতেই হাঙ্গেরির দক্ষিণ সীমান্ত ঘিরে দেয় ওরবান সরকার। তাঁর মতে, হাঙ্গেরি কাদের সঙ্গে থাকবেন সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার শুধু তাঁদেরই আছে।

এ নিয়ে হাঙ্গেরির মত জানতে গত কাল গণভোট নেওয়া হয়। হাঙ্গেরির জাতীয় নির্বাচন দফতর জানিয়েছে, ভোটারদের ৫০% মতদানই করেননি। কাজেই আইনত এ নিয়ে ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্তাদের সঙ্গে দর কষতে নামা সম্ভব নয়। কিন্তু যাঁরা ভোট দিয়েছেন তাঁদের মধ্যে ৯৮.৩%ই শরণার্থী কোটার বিরুদ্ধে। ফল নিয়ে উৎসাহিত ওরবান বলেন, ‘‘হাঙ্গেরির ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদান নিয়ে ভোটে মতদানের হারের চেয়ে এই ভোটে মতদানের হার বেশি।’’ তবে বিরোধীদের দাবি, ব্যর্থ গণভোটের দায় নিয়ে তাঁর ইস্তফা দেওয়া উচিত।

অনেকের মতে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্তৃত্বকে ফের প্রশ্নের মুখে ফেলল এই গণভোট। বোঝাই যাচ্ছে, সদস্য দেশগুলি ইউনিয়নের সব মত মানতে রাজি নয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Refugee Resettlement
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE