বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। —ফাইল চিত্র।
কিরগিজ়স্তানের রাজধানী বিশকেকে বিদেশি ছাত্রদের সঙ্গে স্থানীয়দের গোলমালের জেরে ভারতীয় পড়ুয়াদের সতর্ক করল বিদেশ মন্ত্রক। একই সতর্কবার্তা প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। পাক সরকারের দাবি, ১৮ মে-র ভোরের ওই ঘটনার সময়ে ভারতীয়, পাকিস্তানি ও বাংলাদেশি পড়ুয়ারা থাকেন এমন কয়েকটি ছাত্রাবাসে হামলা হয়েছে। কিরগিজ় বিদেশ মন্ত্রকের অবশ্য দাবি, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। ঘটনায় কেউই গুরুতর জখম হননি। তাদের দাবি, কিছু ‘বিধ্বংসী শক্তি’ বিদেশি সংবাদমাধ্যমে কিরগিজ়স্তানের পরিস্থিতি সম্পর্কে ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে। বিশেষত পাকিস্তানে ভুয়ো তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। বিদেশি পড়ুয়া, সংবাদমাধ্যম ও ব্লগারদের উচিত কিরগিজ় সরকারের প্রকাশিত তথ্য মেনে চলা।
১৮ মে ভোরে বিশকেকে কিরগিজ় ও মিশরীয় পড়ুয়াদের হাতাহাতির ভিডিয়ো ছড়ায়। এর পরে একের পর এক ভিডিয়ো সামনে আসতে থাকে। একটিতে এক ব্যক্তির পা ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে জনতা। যদিও যাঁর পা ধরে টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাঁর পরিচয় জানা যায়নি। ‘আক্রান্ত’ পাক পড়ুয়াদের ভিডিয়োও দেখা গিয়েছে।
গোলমালের কথা অস্বীকার করেনি কিরগিজ় সরকার। তবে তারা জানিয়েছে, ঘটনার খবর পেয়েই দ্রুত পদক্ষেপ করে বাহিনী। সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়। তাদের দাবি, কোনও আহত বিদেশি সাহায্য চাননি। জনা পনেরো কিরগিজ় চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে এসেছিলেন। তবে ভারতীয় দূতাবাসের তরফে পড়ুয়াদের আপাতত বাড়ি থেকে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে। খোলা হয়েছে হেল্প লাইনও। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও টুইটে সতর্ক করেছেন পড়ুয়াদের।
পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ, পাক বিদেশ মন্ত্রক ও সে দেশের বিরোধী দল পিটিআই-ও বিশকেকের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy