Advertisement
০৬ ডিসেম্বর ২০২৫
ilha da queimada grande

সোনার লোভে ব্রাজিলের এই দ্বীপে গিয়ে আজ পর্যন্ত নাকি কেউ ফেরেনি

ইলহা দ্য কুয়েইমাডা গ্র্যান্ডে। নামটা যেমন অদ্ভুত, তেমনই রহস্যে মোড়াএই দ্বীপ। দক্ষিণ অতলান্তিক মহাসাগরের মাঝে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে দ্বীপটি। সাও পাওলো থেকে প্রায় দেড়শো কিলোমিটার দূরে এই দ্বীপে কেউ পা রাখার সাহস দেখান না। সরকারও ওই দ্বীপেমানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এর পিছনে কারণ জানলে শিউরে উঠবেন।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৭:৫৩
Share: Save:
০১ ০৯
ইলহা দ্য কুয়েইমাডা গ্র্যান্ডে। নামটা যেমন অদ্ভুত, তেমনই রহস্যে মোড়াএই দ্বীপ। দক্ষিণ অতলান্তিক মহাসাগরের মাঝে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে দ্বীপটি। সাও পাওলো থেকে প্রায় দেড়শো কিলোমিটার দূরে এই দ্বীপে কেউ পা রাখার সাহস দেখান না। সরকারও ওই দ্বীপেমানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এর পিছনে কারণ জানলে শিউরে উঠবেন।

ইলহা দ্য কুয়েইমাডা গ্র্যান্ডে। নামটা যেমন অদ্ভুত, তেমনই রহস্যে মোড়াএই দ্বীপ। দক্ষিণ অতলান্তিক মহাসাগরের মাঝে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে দ্বীপটি। সাও পাওলো থেকে প্রায় দেড়শো কিলোমিটার দূরে এই দ্বীপে কেউ পা রাখার সাহস দেখান না। সরকারও ওই দ্বীপেমানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এর পিছনে কারণ জানলে শিউরে উঠবেন।

০২ ০৯
গোটা ব্রাজিলের মানুষের মধ্যে এই ধারণা প্রচলিত যে ওই দ্বীপে গেলে জীবন্ত কেউ ফিরে আসে না!

গোটা ব্রাজিলের মানুষের মধ্যে এই ধারণা প্রচলিত যে ওই দ্বীপে গেলে জীবন্ত কেউ ফিরে আসে না!

০৩ ০৯
দ্বীপটিকে নিয়ে কয়েকটি গল্প প্রচলিত রয়েছে। সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন এক মত্স্যজীবী। খিদে পাওয়ায় খাবারের খোঁজে দ্বীপে প্রবেশ করেছিলেন। পর দিন নাকি তাঁর রক্তাক্ত দেহ পাওয়া যায়।

দ্বীপটিকে নিয়ে কয়েকটি গল্প প্রচলিত রয়েছে। সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন এক মত্স্যজীবী। খিদে পাওয়ায় খাবারের খোঁজে দ্বীপে প্রবেশ করেছিলেন। পর দিন নাকি তাঁর রক্তাক্ত দেহ পাওয়া যায়।

০৪ ০৯
এই ঘটনার পর মানুষের মধ্যে আতঙ্ক আরও বাড়ে এবং ‘ওই দ্বীপে গেলে জীবন্ত কেউ ফেরে না’ এই ধারণাটা আরও চেপে বসে তাঁদের মধ্যে।

এই ঘটনার পর মানুষের মধ্যে আতঙ্ক আরও বাড়ে এবং ‘ওই দ্বীপে গেলে জীবন্ত কেউ ফেরে না’ এই ধারণাটা আরও চেপে বসে তাঁদের মধ্যে।

০৫ ০৯
মত্স্যজীবীর ‘রহস্যময়’ মৃত্যুর পরেও ওই দ্বীপেই গিয়ে ডেরা বাঁধে কয়েক জন। লাইটহাউস রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একটি পরিবার ওই দ্বীপে বেশ কয়েক বছর থাকতেন। ১৯০৯-’২০ পর্যন্ত ছিলেন তাঁরা। শোনা যায়, ঘরে ঢুকে পুরো পরিবারকে মেরে ফেলে সাপের দল।

মত্স্যজীবীর ‘রহস্যময়’ মৃত্যুর পরেও ওই দ্বীপেই গিয়ে ডেরা বাঁধে কয়েক জন। লাইটহাউস রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একটি পরিবার ওই দ্বীপে বেশ কয়েক বছর থাকতেন। ১৯০৯-’২০ পর্যন্ত ছিলেন তাঁরা। শোনা যায়, ঘরে ঢুকে পুরো পরিবারকে মেরে ফেলে সাপের দল।

০৬ ০৯
কোথা থেকে এল এই সাপ? এ নিয়েও কাহিনি আছে। শোনা যায়, জলদস্যুরা লুঠ করা সোনা এই দ্বীপে লুকিয়ে রাখত। কেউ যাতে সেগুলো হাতাতে না পারে সে জন্য কয়েকটি বিষাক্ত সাপ নিয়ে এসে দ্বীপে ছেড়ে দিয়েছিল তারাই। সেই সোনার লোভে বারেবারেই সেখানে গিয়েছে মানুষ। কিন্তু শোনা যায়, তারা কেউই ফেরেনি।

কোথা থেকে এল এই সাপ? এ নিয়েও কাহিনি আছে। শোনা যায়, জলদস্যুরা লুঠ করা সোনা এই দ্বীপে লুকিয়ে রাখত। কেউ যাতে সেগুলো হাতাতে না পারে সে জন্য কয়েকটি বিষাক্ত সাপ নিয়ে এসে দ্বীপে ছেড়ে দিয়েছিল তারাই। সেই সোনার লোভে বারেবারেই সেখানে গিয়েছে মানুষ। কিন্তু শোনা যায়, তারা কেউই ফেরেনি।

০৭ ০৯
তার পর সেই সাপের বংশবৃদ্ধি হতে থাকে। কয়েকটি সাপ থেকে কয়েক হাজার সাপে ভরে যায় গোটা দ্বীপ। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, খোঁজ নিয়ে দেখা গিয়েছে ওই সাপ গোল্ডেন ল্যান্সহেড। বিশ্বের অন্যতম বিষধর সাপ এটি।

তার পর সেই সাপের বংশবৃদ্ধি হতে থাকে। কয়েকটি সাপ থেকে কয়েক হাজার সাপে ভরে যায় গোটা দ্বীপ। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, খোঁজ নিয়ে দেখা গিয়েছে ওই সাপ গোল্ডেন ল্যান্সহেড। বিশ্বের অন্যতম বিষধর সাপ এটি।

০৮ ০৯
একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, সাপের সংখ্যা এত বেড়ে গিয়েছে যে,প্রতি এক বর্গমিটারে একটা করে সাপ পাওয়া গিয়েছে। সাপদের স্বর্গরাজ্য এই দ্বীপটিকে তাই ‘স্নেক আইল্যান্ড’ বলা হয়।

একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, সাপের সংখ্যা এত বেড়ে গিয়েছে যে,প্রতি এক বর্গমিটারে একটা করে সাপ পাওয়া গিয়েছে। সাপদের স্বর্গরাজ্য এই দ্বীপটিকে তাই ‘স্নেক আইল্যান্ড’ বলা হয়।

০৯ ০৯
গোল্ডেন ল্যান্সহেড যেহেতু বিরল প্রজাতির, তাই এই সাপকে বাঁচাতে ব্রাজিল সরকার পদক্ষেপ করেছে। বিশ্ববাজারে এই সাপের চাহিদা থাকায় চোরা কারবারিদের হাতে থেকে রক্ষা করতে এবং সাপের কামড়ে যাতে মৃত্যু না হয় সাধারণ মানুষের তাই দ্বীপে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

গোল্ডেন ল্যান্সহেড যেহেতু বিরল প্রজাতির, তাই এই সাপকে বাঁচাতে ব্রাজিল সরকার পদক্ষেপ করেছে। বিশ্ববাজারে এই সাপের চাহিদা থাকায় চোরা কারবারিদের হাতে থেকে রক্ষা করতে এবং সাপের কামড়ে যাতে মৃত্যু না হয় সাধারণ মানুষের তাই দ্বীপে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy