Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
stone

কানাডায় বরফ ঢাকা খনি থেকে মিলল বিশাল হিরে!

কানাডার উত্তরের অংশ বরফ জমা এলাকায় অবস্থিত ডিয়াভিক খনি থেকে মিলল এমন দুর্লভ এক হীরকখণ্ডটি। গয়না তৈরির এই হিরের বিশেষত্ব জানেন?

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৩:৫৭
Share: Save:
০১ ০৯
আকারে অনেকটা মুরগির ডিমের মতো। ওজনেও নেহাত কম নয়, ৫৫২ ক্যারেট! শরীর যদিও খসখসে তবে রং দেখে চোখ ফেরানো দায়! সোনার মতো রঙের এই বস্তু ঘিরেই আপাতত সব আগ্রহ উত্তর আমেরিকায়। কেন জানেন?

আকারে অনেকটা মুরগির ডিমের মতো। ওজনেও নেহাত কম নয়, ৫৫২ ক্যারেট! শরীর যদিও খসখসে তবে রং দেখে চোখ ফেরানো দায়! সোনার মতো রঙের এই বস্তু ঘিরেই আপাতত সব আগ্রহ উত্তর আমেরিকায়। কেন জানেন?

০২ ০৯
কানাডার উত্তরের অংশ বরফ জমা এলাকায় অবস্থিত ডিয়াভিক খনি থেকে মিলল এমন দুর্লভ এক হীরকখণ্ডটি। এটিকে মাটি খুঁড়ে বার করলেন‘ডমিনিয়ন ডায়মন্ড মাইনস’ ও ‘রিও টিনটো’ গ্রুপের বিশেষজ্ঞরা।

কানাডার উত্তরের অংশ বরফ জমা এলাকায় অবস্থিত ডিয়াভিক খনি থেকে মিলল এমন দুর্লভ এক হীরকখণ্ডটি। এটিকে মাটি খুঁড়ে বার করলেন‘ডমিনিয়ন ডায়মন্ড মাইনস’ ও ‘রিও টিনটো’ গ্রুপের বিশেষজ্ঞরা।

০৩ ০৯
এর আগেও বিভিন্ন উচ্চমানের হিরে এই খনি থেকে বার হলেও এত বড় আকারের হিরে এর আগে ওঠেনি। ডমিয়নের সিইও শেন ডার্গিন জানান, এই হীরকখণ্ডটি মূলত গহনা প্রস্তুতেই কাজে আসার উপযুক্ত। সোনালি হলুদ রঙের এই হীরকখণ্ড ওই খনি থেকে পাওয়া আগের পাথরগুলির রেকর্ড ভেঙে দিল। আকারে পূর্বের তুলনায় প্রায় তিন গুণ বড় এটি।

এর আগেও বিভিন্ন উচ্চমানের হিরে এই খনি থেকে বার হলেও এত বড় আকারের হিরে এর আগে ওঠেনি। ডমিয়নের সিইও শেন ডার্গিন জানান, এই হীরকখণ্ডটি মূলত গহনা প্রস্তুতেই কাজে আসার উপযুক্ত। সোনালি হলুদ রঙের এই হীরকখণ্ড ওই খনি থেকে পাওয়া আগের পাথরগুলির রেকর্ড ভেঙে দিল। আকারে পূর্বের তুলনায় প্রায় তিন গুণ বড় এটি।

০৪ ০৯
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সোনার মতো হলুদ রঙের দুষ্প্রাপ্য হীরকখণ্ডটি মূল্যের দিক থেকেও দুর্মূল্য। সাধারণত আমেরিকার নানা খনিতে মেলা হলুদ রঙের পাথরগুলির (টাইপ টুএ) মাথাটি সাদা হয়। সেগুলির দাম ধার্য হয় কিছুটা ছাড় দেওয়ার পর। তবেএই বিশেষ খণ্ডটির ক্ষেত্রে এমন কোনও ছাড় দেওয়া হবে না।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সোনার মতো হলুদ রঙের দুষ্প্রাপ্য হীরকখণ্ডটি মূল্যের দিক থেকেও দুর্মূল্য। সাধারণত আমেরিকার নানা খনিতে মেলা হলুদ রঙের পাথরগুলির (টাইপ টুএ) মাথাটি সাদা হয়। সেগুলির দাম ধার্য হয় কিছুটা ছাড় দেওয়ার পর। তবেএই বিশেষ খণ্ডটির ক্ষেত্রে এমন কোনও ছাড় দেওয়া হবে না।

০৫ ০৯
তবে এর আনুমানিক দাম কত হতে পারে তা নিয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করতে নারাজ ডার্গিন। তাঁর মতে, এই হীরকখণ্ডটির রুক্ষতা কমানোর পর তার শরীরের প্রকৃতি ও কোন পদ্ধতিতে তা কাটা হচ্ছে সে সবের উপর নির্ভর করবে এর দাম।তবে এই দাম যে বিশ্বের সেরা পাথরগুলির মধ্যে অন্যতম হবে তা নিয়ে একপ্রকতার নিশ্চিত তিনি।

তবে এর আনুমানিক দাম কত হতে পারে তা নিয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করতে নারাজ ডার্গিন। তাঁর মতে, এই হীরকখণ্ডটির রুক্ষতা কমানোর পর তার শরীরের প্রকৃতি ও কোন পদ্ধতিতে তা কাটা হচ্ছে সে সবের উপর নির্ভর করবে এর দাম।তবে এই দাম যে বিশ্বের সেরা পাথরগুলির মধ্যে অন্যতম হবে তা নিয়ে একপ্রকতার নিশ্চিত তিনি।

০৬ ০৯
ব্লুমবার্গ ক্যালকুলেশনের মত অনুযায়ী, এটি এই শতাব্দীর সপ্তম বৃহৎ পাথরখণ্ড। গোটা বিশ্বের ৩০ টি বৃহৎ পাথরের তালিকায় অনায়াসেই ঠাঁই পাবে এটি। এর রহের উজ্জ্বলতা আরও বেশি করে একে দুষ্প্রাপ্য করে তুলেছে বলেও মনে করে তারা।

ব্লুমবার্গ ক্যালকুলেশনের মত অনুযায়ী, এটি এই শতাব্দীর সপ্তম বৃহৎ পাথরখণ্ড। গোটা বিশ্বের ৩০ টি বৃহৎ পাথরের তালিকায় অনায়াসেই ঠাঁই পাবে এটি। এর রহের উজ্জ্বলতা আরও বেশি করে একে দুষ্প্রাপ্য করে তুলেছে বলেও মনে করে তারা।

০৭ ০৯
১৯০৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রিটোরিয়ায় এই শতকের বৃহৎ পাথরটির খোঁজ মেলে। সেটি ছিল ৩১০৬ ক্যারেট ওজনের একটি কালিনান। যা থেকে কেটে অসংখ্য রত্ন তৈরি হয়। তার মধ্যে দ্য গ্রেট স্টার অব আফ্রিকা ও দ্য লেসার স্টার অব আফ্রিকা— এই দুই রত্ন শোভা পাচ্ছে ব্রিটিশ রাজমুকুটে।

১৯০৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রিটোরিয়ায় এই শতকের বৃহৎ পাথরটির খোঁজ মেলে। সেটি ছিল ৩১০৬ ক্যারেট ওজনের একটি কালিনান। যা থেকে কেটে অসংখ্য রত্ন তৈরি হয়। তার মধ্যে দ্য গ্রেট স্টার অব আফ্রিকা ও দ্য লেসার স্টার অব আফ্রিকা— এই দুই রত্ন শোভা পাচ্ছে ব্রিটিশ রাজমুকুটে।

০৮ ০৯
বিগত কয়েক বছর ধরেই প্রযুক্তির নানা উন্নয়নে খনির ভিতর থেকে পাথরের খোঁজ পাওয়া অনেক সহজ হয়েছে। খনিতে ক্ষতিকারক কোনও বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পাথর গুঁড়ো করে দেওয়ার মতো পরিস্থিতিও খুব একটা আসেনি। ফলে এই ধরনের বড় বড় পাথরের সন্ধান পেতে সুবিধা হয়েছে। লুকারা ডায়মন্ড ক্রপ ও জেম ডায়মন্ডস লিমিটেডের পক্ষ থেকেই ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২৮৮ কোটি থেকে প্রায় ৪৫৪ কোটি টাকার পাথর খনন করা হয়েছে।

বিগত কয়েক বছর ধরেই প্রযুক্তির নানা উন্নয়নে খনির ভিতর থেকে পাথরের খোঁজ পাওয়া অনেক সহজ হয়েছে। খনিতে ক্ষতিকারক কোনও বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পাথর গুঁড়ো করে দেওয়ার মতো পরিস্থিতিও খুব একটা আসেনি। ফলে এই ধরনের বড় বড় পাথরের সন্ধান পেতে সুবিধা হয়েছে। লুকারা ডায়মন্ড ক্রপ ও জেম ডায়মন্ডস লিমিটেডের পক্ষ থেকেই ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২৮৮ কোটি থেকে প্রায় ৪৫৪ কোটি টাকার পাথর খনন করা হয়েছে।

০৯ ০৯
ডিয়াভিক খনিটির মালিকানা রিও টিনটো গ্রুপের অধীনে। খুব শীগ্রই এই পাথরটি কাটা ও তার রুক্ষতা কমিয়ে পালিশ করার জন্য নিলাম হাঁকা হবে বলে তাঁরা জানিয়েছেন।

ডিয়াভিক খনিটির মালিকানা রিও টিনটো গ্রুপের অধীনে। খুব শীগ্রই এই পাথরটি কাটা ও তার রুক্ষতা কমিয়ে পালিশ করার জন্য নিলাম হাঁকা হবে বলে তাঁরা জানিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE