বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে আওয়ামী লীগকে নির্বাসনে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করে দিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূস। এই উদ্দেশ্যে সে দেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল আইন সংশোধনের খসড়া প্রকাশিত হয়েছে সোমবার।
সংশোধিত আইন অনুযায়ী কোনও রাজনৈতিক দল বা সংগঠন খুন, গুম, নির্যাতনের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের স্বীকৃতি স্থগিত বা বাতিল করা যাবে। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’য় প্রকাশিত প্রতিবেদন জানাচ্ছে, অন্তর্বর্তী সরকার এখন সংশোধনী প্রস্তাবগুলো আরও যাচাই–বাছাই করছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের যুক্তি, গত ১৫ জুলাই থেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ মানুষের উপর ‘উন্মত্ত ও বেপরোয়া সশস্ত্র আক্রমণ’ চালিয়ে শত শত নিরপরাধ শিক্ষার্থী ও ব্যক্তিকে হত্যা করেছে। বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে আদালত ইতিমধ্যেই চার্জ গঠনের অনুমতি দিয়েছে। দলের সভানেত্রী হাসিনাও সরাসরি খুনের মামলায় অভিযুক্ত। এই প্রক্রিয়া কার্যকর হলে মুক্তিযুদ্ধের প্রধান শক্তিটি কার্যত একটি ‘জঙ্গিগোষ্ঠী’ হিসাবে চিহ্নিত হবে।
আরও পড়ুন:
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ২২ অক্টোবর হাসিনার দলের ছাত্র শাখা ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ইউনূস সরকার জানিয়েছিল, ‘সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯’ অনুযায়ী এই পদক্ষেপ। ওই আইনের তফসিল-২–এ ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’ নামের ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ তালিকাভুক্ত করার কথাও বলা হয় বিজ্ঞপ্তিতে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠনকে নিশানা করে ইউনূস সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতা-পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে, বিশেষ করে বিগত ‘১৫ বছরের স্বৈরাচারী শাসনে’ (হাসিনার প্রধানমন্ত্রিত্বের সময়) হত্যা, নির্যাতন, নিপীড়ন, ছাত্রাবাসে সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন-সহ নানা জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল।