ফাইল চিত্র।
সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে ঢুকে জইশ-অল-অদল জঙ্গিগোষ্ঠীর কমান্ডারকে খতম করল ইরান। অন্তত তেমনই দাবি করল পশ্চিম এশিয়ার দেশটি। ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনায় দু’দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কের টানাপড়েনের রেশ থিতিয়ে যাওয়ার আগেই পাকিস্তানে ঢুকে আবার হামলা চালানোর ঘটনা যে পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত করতে পারে, তেমন আশঙ্কা করেছেন অনেকে।
মাসখানেক আগেই পাকিস্তানের এই জঙ্গিগোষ্ঠীর ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল ইরান। যার জবাবে পাকিস্তানও পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র এবং বিমান হামলা চালায়। দুই ‘বন্ধু’ দেশ হলেও সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সম্পর্কের টানাপড়েন শুরু হয়। যদিও দুই দেশই পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলে।
অল আরবিয়া নিউজ়-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তানের জইশ-অল-অদল জঙ্গি সংগঠন ২০১২ সালে তৈরি হয়েছিল। এই জঙ্গিগোষ্ঠী ইরানের দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্ত সিস্তান-বালুচিস্তান প্রদেশে অত্যন্ত সক্রিয়। গত কয়েক বছর ধরে ইরান সেনার উপর হামলা চালাচ্ছিল এই জঙ্গিরা। গত বছরের ডিসেম্বরে সিস্তান-বালুচিস্তান প্রদেশে একটি পুলিশচৌকিতে হামলা চালায় জইশ-অল-অদল। সেই ঘটনায় ১১ জন পুলিশকর্মী নিহত হয়েছিলেন।
মাসখানেক আগেই পাকিস্তানের এই জঙ্গি সংগঠনের ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। সেই ঘটনার পর পাকিস্তান পাল্টা হুঁশিয়ারি দেয়। হামলা বন্ধ না করলে ফল ভাল হবে না বলে ইরানকে সতর্কও করে। কিন্তু তার পরেও জইশ-অল-অদলের ঘাঁটি লক্ষ্য করে ইরান হামলা চালানোয়, পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র এবং বিমান হামলা চালায় ইরান। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’দেশের মধ্যে যুদ্ধের আবহ তৈরি হয়। যদিও দুই দেশের পারস্পরিক তৎপরতায় সেই উত্তেজনা প্রশমিত হয়। কিন্তু আবার পাকিস্তানে ঢুকে জঙ্গি কমান্ডারকে খতমের যে দাবি ইরান করছে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কি আবার দু’দেশের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে পারে, পাকিস্তান কি পাল্টা কোনও জবাব দেবে, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy