ছবি: রয়টার্স।
তিন বছর আগে নয়াদিল্লিতে আফ্রিকার প্রায় সব ক’টা দেশকে ডেকে এক বিরাট সম্মেলনের আয়োজন করেছিল মোদী সরকার। সেই ভারত-আফ্রিকা সম্মেলনে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগিতার বহর এক ধাপে অনেকটাই বাড়ানো নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছিল।
পাঁচ দিনের আফ্রিকা সফরে আজ প্রথম রুয়ান্ডা পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখান থেকে উগান্ডা যান তিনি। তাঁর চলতি আফ্রিকা সফরে সেই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছনোর চেষ্টা চলছে ঠিকই। কিন্তু এর মধ্যেই ভারতকে ছাড়িয়ে অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে বেজিং। কিন্তু কূটনৈতিক শিবিরের মতে, অনেকটা দেরিতে শুরু করেও প্রতিরক্ষা কূটনীতির প্রশ্নে চিন গত কয়েক বছরে আফ্রিকাকে কার্যত নিজেদের প্রভাব বলয়ে নিয়ে এসেছে। আফ্রিকায় প্রায় আড়াই হাজারের শান্তিবাহিনী তৈরি করা, সেখানকার আঞ্চলিক সন্ত্রাস সামলানোর জন্য বিপুল অনুদান, কৃত্রিম ‘ইন্টেলিজেন্স সফ্টওয়্যার’ রফতানি, আফ্রিকার সেনাবাহিনীকে আধুনিক প্রশিক্ষণ— সব ক্ষেত্রেই চিন এক নম্বরে। তানজ়ানিয়ায় একটি বিশাল বন্দরও তৈরি করতে শুরু করেছে বেজিং।
অথচ গত পাঁচ দশক আফ্রিকার শান্তিবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত ভারত। বিশেষ কিছু কূটনৈতিক লাভের কথা মাথায় রেখেই আফ্রিকার নিরাপত্তা প্রশ্নে নিজেদের যুক্ত করেছিল ভারত। যার মধ্যে নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়ার জন্য আফ্রিকার দেশগুলির সমর্থন টানা ছিল একটি বড় দিক।
‘স্টকহলম ইনস্টিটিউট অব পিস রিসার্চ’ সম্প্রতি জানিয়েছে, ২০১৩ থেকে ’১৭-র মধ্যে আফ্রিকায় অস্ত্র আমদানি, তার আগের পাঁচ বছরের তুলনায় চিন বাড়িয়েছে ৫৫ শতাংশ। তুলনায় আফ্রিকার অস্ত্রবাজারে ভারতের উপস্থিতি এখনও পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য নয়। অস্ত্র রফতানি বা আমদানির তুলনায় নয়াদিল্লি বরাবরই জোর দিয়েছে ওই মহাদেশে সামরিক প্রশিক্ষণের দিকে। চিনের সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে এ বার সাবেকি সামরিক সহায়তার থেকে এক ধাপ এগিয়ে নতুন ভাবে গোটা বিষয়টিকে দেখতে চাইছে সাউথ ব্লক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy