এই মালবাহী জাহাজটিকেই ছিনতাই করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত।
ভারতে আসার পথে লোহিত সাগরে ছিনতাই করা হয়েছে আস্ত একটি পণ্যবাহী জাহাজকে। রবিবার ইজ়রায়েলের এই দাবিতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই ঘটনার জন্য ইজ়রায়েলের তরফে দায়ী করা হয়েছে ইয়েমেনের সশস্ত্র সংগঠন হুথিকে। তবে কেবল হুথি নয়, এর নেপথ্যে ইরানেরও হাত রয়েছে বলে মনে করছে তেল আভিভ।
ইজ়রায়েলের দাবি মোতাবেক, ব্রিটেনের একটি সংস্থার মালিকানাধীন ওই জাহাজ জাপানের একটি সংস্থার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। ‘গুরুত্বপূর্ণ’ সামগ্রী নিয়ে জাহাজটি ভারতের দিকে যাচ্ছিল বলে জানিয়েছে তারা। জাহাজে ছিলেন ২৫ জন কর্মী। এই ২৫ জন ইউক্রেন, বেলারুশ, মেক্সিকো-সহ বিভিন্ন দেশের নাগরিক বলে জানা গিয়েছে।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে মুখ খুলেছে হুথি। জাহাজ ছিনতাই করার বিষয়টি স্বীকার করে তারা জানিয়েছে, একটি ইজ়রায়েলি পণ্যবাহী জাহাজকে দক্ষিণ লোহিত সাগরে ‘বাজেয়াপ্ত’ করা হয়েছে। যদিও ইজ়রায়েলের পাল্টা দাবি, জাহাজটি তাদের নয়। জাহাজে ইজ়রায়েলের কোনও নাগরিকও ছিলেন না। হুথির এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, জাহাজে থাকা ২৫ জন কর্মীকে ইসলামিক নীতি এবং আদর্শ অনুযায়ী তাদের হেফাজতে রাখা হবে। একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, হেলিকপ্টারের মাধ্যমে জাহাজটিকে অপহরণ করেছে হুথি।
এই ঘটনায় অবশ্য সরাসরি ইরানকে দুষে একটি বিবৃতি দিয়েছে ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সচিবালয়। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইরানের মদতে আন্তর্জাতিক জলপথের নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইজ়রায়েল-হামাস সংঘাত শুরু হওয়ার পর হুথি সরাসরি প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র সংগঠনটির পাশে দাঁড়িয়েছে। এই আবহে জাহাজ ছিনতাইয়ের দাবি- পাল্টা দাবি নিয়ে পশ্চিম এশিয়ার রাজনীতি ফের সরগরম হয়ে উঠতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy