পাশাপাশি, ওয়াশিংটনের পাকিস্তান সম্পর্কিত নীতিও মোটের উপর একই থাকবে বলে একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন তিনি। পাকিস্তান সরকার লস্কর-ই-তইবা, জয়েশ-ই-মহম্মদের মত ভারত-বিরোধী জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছে বলেও ‘সার্টিফিকেট’ দিয়েছেন তিনি।
প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারত-আমেরিকা কৌশলগত অংশীদারিত্বের প্রক্রিয়া সূচনা হয়েছিল প্রায় দু’দশক আগে। প্রেসিডেন্ট জুনিয়র বুশের জমানায়। পরবর্তী প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে পরস্পরের সামরিক ঘাঁটি ব্যবহারের মতো গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছিল নয়াদিল্লি এবং ওয়াশিংটন। ট্রাম্পের আমলে প্রতিরক্ষা সহযোগিতার ক্ষেত্র আরও প্রসারিত হয়।
চিন যে ভাবে পাকিস্তানকে সঙ্গে নিয়ে ভারত বিরোধী বৃত্ত গড়ে তুলতে সক্রিয়, তাতে পাল্টা সামরিক জোট ভারতেরও প্রয়োজন। আর তা উপলব্ধি করেই জাপান এবং অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে হাত মিলিয়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চিনের সামরিক প্রভাব খর্ব করার চেষ্টা শুরু হয়। আমেরিকার পরবর্তী প্রতিরক্ষা সচিবের বার্তা, আগামী দিনেও এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।
তবে বাইডেন জমানার সূচনা পর্বেই ইসলামাবাদ প্রসঙ্গে ‘নমনীয়তা’র ইঙ্গিত নয়াদিল্লিকে কিছুটা চাপে ফেলল বলেই কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের অনুমান। ট্রাম্প সরকার ২০১৮ সালে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইসলামাবাদের ‘সদিচ্ছা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। পাকিস্তানকে সামরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রেও কয়েকটি বিধিনিষেধ বলবৎ করেছিল। বাইডেন সরকার এ ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ নেয়, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি করেছে অস্টিনের মন্তব্য।