ফাইল চিত্র।
চিন সাহায্য না করলে উত্তর কোরিয়াকে একাই শায়েস্তা করার কথা বলেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আজ ডোনাল্ড ট্রাম্পের সেই হুমকি কার্যত ফুৎকারে উড়িয়ে জাপান সাগরে ফের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল কিম জং উনের প্রশাসন। চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিংয়ের সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠকের ঠিক আগের দিন।
হোয়াইট হাউস সূত্রের খবর, উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসুচি কী ভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা যায়, তা নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা দুই রাষ্ট্রনেতার। আজ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে উত্তর কোরিয়া দু’দেশকেই কোনও বার্তা দিতে চাইল কি না, তা নিয়ে কূটনীতিকদের মধ্যে জল্পনা শুরু হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার ইঙ্গিত সে দিকেই। বিষয়টিকে সরাসরি ‘উস্কানিমূলক’ বলে মন্তব্য করেছে জাপান। যদিও পিয়ংইয়ংয়ের দাবি, এ নেহাতই পরীক্ষামূলক প্রয়োগ। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে গত কয়েক বছর ধরে যেমনটা তারা করেই চলেছে। যখন-তখন!
সূত্রের খবর, আজ উত্তর কোরিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় বন্দর শহর সিনপোর একটি ঘাঁটি থেকে ছোড়া হয় মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রটি। সেটি উৎক্ষেপণস্থল থেকে প্রায় ১৯০ কিলোমিটার উপরে উঠে ৬০ কিলোমিটার দূরত্ব পেরিয়ে জাপান সাগরে গিয়ে পড়ে। এই ধরনের পরীক্ষায় কিম প্রশাসন নিজেদের শক্তি যাচাই করে রাখছে বলেও মত আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলের একাংশের। ডুবোজাহাজ থেকে পিয়ংইয়ংয়ের ক্ষেপণাস্ত্র হুমকির মোকাবিলায় গত সোমবার দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের সঙ্গে যৌথ মহড়ায় নেমেছিল মার্কিন নৌসেনা। আজ তা শেষ হওয়ার আগেই উত্তর কোরিয়া ফের বুঝিয়ে দিল— তারা বেপরোয়াই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy