ফাইল চিত্র।
হুঙ্কার যেন থামতেই চাইছে না। প্রাক্ নির্বাচনী সময়ে যে ভাবে বলতেন, এখনও একই ভঙ্গিমায় কথা বলে চলেছেন তিনি। বরং যত দিন যাচ্ছে, ততই অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে তাঁর বক্তব্য।
এ বার আরও এক ধাপ এগিয়ে গোটা দুনিয়াকে পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতায় সামিল হওয়ার আহ্বান জানালেন তিনি। অথচ মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে এখনও শপথ নেওয়া বাকি রয়েছে।
তিনি আমেরিকার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট (প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট) ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরমাণু অস্ত্র প্রসঙ্গে তাঁর করা একটি টুইট আপাতত গোটা দুনিয়ায় ঝড় তুলেছে। কী লিখেছেন ট্রাম্প? আমেরিকাকে তার পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার আরও শক্তিশালী করতে হবে। এবং যত ক্ষণ পর্যন্ত পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে গোটা দুনিয়ার হুঁশ না ফেরে, তত ক্ষণ তার বিস্তারও বাড়িয়ে যেতে হবে। তাঁর মতে, দুনিয়াজোড়া একটা পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতা হওয়া উচিত। তা হলেই বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে যাবে।
তাঁর এমন মন্তব্যে গোটা দুনিয়া জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। শপথ নেওয়ার আগেই এ কী বলছেন ট্রাম্প? তবে কূটনীতিকদের ধারণা, ট্রাম্প অহেতুক এমন টুইট করেননি। সম্ভবত এর মাধ্যমে রাশিয়াকে চাপে রাখতে চেয়েছেন তিনি। সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও রাশিয়ার পরমাণু শক্তি বাড়ানো উচিত বলে মন্তব্য করেছিলেন। তাঁর মতে, রাশিয়ার সামরিক বাহিনী যে কোনও শত্রুকে পরাস্ত করতে পারে। তবুও নিজেদের পারমাণবিক ক্ষমতা আরও বাড়ানো উচিত রাশিয়ার। কারও নাম না করে ট্রাম্পের টুইটটি আসলে পুতিনের সেই মন্তব্যেরই জবাব বলে কূটনীতিকদের একাংশের ধারণা। তবে ট্রাম্প যাই বলুন না কেন, আমেরিকাকে যে পুতিন উপযুক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখেন না, সে কথাও শুক্রবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি।
যদিও হোটাইট হাউসের মুখপাত্র সিয়ান স্পাইসার জানিয়েছেন, আদতে পরমাণু শক্তির লড়াই চান না প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট। ওই মুখপাত্রের দাবি, পরমাণু অস্ত্র নিয়ে অন্য কোনও দেশের হুঁশিয়ারি শুনে তিনি যে মোটেও পিছিয়ে আসা বা সেটা বরদাস্ত করার মানুষ নন, গোটা বিশ্বকে সেই বার্তাই দিতে চেয়েছেন প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট।
আরও পড়ুন: ট্রাম্প-কন্যা ইভাঙ্কাকে কটূক্তি, বিমান থেকে নামানো হল দুই যাত্রীকে
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy