ধুঁকছে শুধু নয়, গত বছরের জোড়া ধাক্কায় কার্যত দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে মালয়েশীয় এয়ারলাইন্স। সোমবার এমনটা জানান সংস্থার সিইও ক্রিস্টফ মুলার। অবস্থার সামাল দিতে প্রচুর কর্মী ছাঁটাইয়ের ইঙ্গিতও দেন তিনি।
এক মাসও হয়নি সংস্থাটি ঢেলে সাজার দায়িত্ব নিয়েছেন জার্মান সিইও। তাঁর এ দিনের ঘোষণায় সাড়া পড়েছে দেশ জুড়ে। প্রশ্ন উঠছে কর্মী ছাঁটাই নিয়েও। তবে বিমান চলাচল স্বাভাবিকই আছে বলে দাবি মুলারের।
সংস্থার এমন হাল নিয়ে মুলারের দাবি, ‘‘এমএইচ ৩৭০ ও এমএইচ ১৭-র জোড়া বিপর্যয়ে অনেক আগে থেকেই ধুঁকছে সংস্থা।’’ পরিস্থিতির সামাল দিতে বছর দুয়েক লাগবে বলে জানান তিনি। সংস্থাটিকে ঢেলে সাজার প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে ইতিমধ্যেই ছাঁটাইপত্র দেওয়া হয়েছে ২০ হাজার কর্মীকে। নয়া নিয়োগপত্র পেয়েছেন ১৪ হাজার জন। মুলারের দাবি, ‘‘চলতি বছরেই রুগ্ণ দশা ঘুচবে, বন্ধ হবে রক্তক্ষরণ। ধাতস্ত হতে হতে ২০১৬। আশা করছি ২০১৭ থেকেই হাল ফিরতে শুরু করবে।’’
অভিবাসন মন্ত্রক সূত্রের দাবি, এক দশক ধরে ধুঁকছে সংস্থাটি। পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে গত বছরের জোড়া বিপর্যয়ে। ২০১৪-র মার্চে কুয়ালা লামপুর থেকে বেজিং যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয় এমএইচ ৩৭০ বিমান। এখনও খোঁজ মেলেনি ২৩৯ জন যাত্রী ও বিমানকর্মীর। ফের অঘটন মাস চারেকের মাথায়। মাঝ আকাশে ভেঙে পড়ে এমএইচ ১৭ বিমান। ঘটনাস্থলেই প্রাণ যায় ২৯৮ জনের। এর পরই সংস্থাটির দায়িত্ব নেয় মালয়েশিয়া সরকার। সংস্থাটির হাল ফেরাতে সিইও নিয়োগ করা হয় মুলারকে।
মুলার জানান, সেপ্টেম্বর থেকেই ঢেলে সাজার কাজ শুরু হবে মালয়েশীয় এয়ারলাইন্সে। তবে কিছু রুটের উড়ান বাতিল হবে বলে ইঙ্গিত মিলেছে। কুয়ালা লামপুর থেকে লন্ডন রুটে সংস্থার যাতায়াত দীর্ঘদিনের। সম্প্রতি এই রুটেই বিমান চালাতে শুরু করেছে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজও। তাই প্রতিযোগিতা সামলে মুলারের পথ তেমন প্রশস্ত নয় বলেই অনুমান উড়ান বিশেষজ্ঞদের।
ছবি: এএফপি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy