পুষ্পকমল দাহাল তথা প্রচণ্ড। ছবি: রয়টার্স।
নেপালের প্রধানমন্ত্রী ফের সিপিএন-মাওবাদী নেতা পুষ্পকমল দাহাল তথা প্রচণ্ড। গরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে পারবেন না বুঝে দিন দশেক আগেই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন সিপিএন-ইউএমএল নেতা খড়্গপ্রসাদ ওলি। ভারতের কাছে কিছুটা হলেও তা ছিল স্বস্তির বার্তা। ওলির চিন-ঘেঁষা নীতি, মদেশীয় ও অন্য জনজাতিদের অধিকার না দেওয়া এবং আরও কিছু বিষয় নিয়ে ওলির আমলে ভারত-নেপাল সম্পর্কে বেশ অবনতি হয়েছিল। ফলে প্রচণ্ড আজ দ্বিতীয় দফায় নেপালের প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় দু’দেশের সম্পর্কের উন্নতি ঘটানোর চেষ্টা ফের জোর পেতে পারে। ৫৯৫ আসনের পার্লামেন্টে ৩৬৩ জনের সমর্থন পেয়েছেন প্রচণ্ড। ওলির বিদায় নিশ্চিত বুঝেই তিনি ভারতের সমর্থন চেয়ে দূত পাঠিয়েছিলেন। তবে এর পরেও উত্তরের চিন ও দক্ষিণের ভারত— প্রচণ্ড কার সঙ্গে কেমন সম্পর্ক রেখে চলেন, তার উপরেই নির্ভর করছে ভারত-নেপাল সম্পর্কের ওঠাপড়া।
গণতন্ত্রে পা রেখেও গত আট বছর ধরেই কমবেশি অস্থিরতার মধ্যে রয়েছে এই হিমালয় রাষ্ট্র। প্রচণ্ডর নেতৃত্বে রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধ শুরু করেছিলেন নেপালের মাওবাদীরা। রাজতন্ত্র থেকে মুক্তির পরে ২০০৮-এর অগস্টে প্রধানমন্ত্রী হন প্রচণ্ড। কিন্তু ন’মাসের মাথায় ইস্তফা দেন সেনাপ্রধানের অপসারণ নিয়ে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রামবরণ যাদবের সঙ্গে বিরোধের জেরে। এই নিয়ে আট বছরে আট বার প্রধানমন্ত্রী বদল ঘটল নেপালে। দ্বিতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে প্রচণ্ড আজ জানিয়েছেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির লক্ষ্যে কাজ করবেন তিনি। সেই উন্নয়নে তরাই অঞ্চলের মদেশীয় ও অন্য জনজাতির মানুষকেও তিনি সামিল করে নেন কি না এবং ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক মসৃণ করার লক্ষ্যে এগোন কি না— সে দিকে সতর্ক নজর রাখছে সাউথ ব্লক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy