রাজতন্ত্রের অবসানের পর থেকে রাজনৈতিক অস্থিরতায় ভুগতে থাকা নেপালকে কি সুস্থিতির পথ দেখাতে পারবেন প্রচণ্ড? —ফাইল চিত্র।
ফের নেপালের প্রধানমন্ত্রী পদে বসলেন পুষ্প কমল দহল ওরফে প্রচণ্ড। আস্থা ভোটে হার নিশ্চিত জেনে ক’দিন আগেই প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন সিপিএন-ইউএমএল নেতা খড়্গ প্রসাদ ওলি। তার পর বুধবার নেপালের পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থন পেয়েছেন প্রচণ্ড। তার সুবাদে ফের প্রধানমন্ত্রী পদে বসলেন সিপিএন-এম নেতা প্রচণ্ড।
প্রচণ্ডের নেতৃত্বেই নেপালে রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধ শুরু করেছিল মাওবাদীরা। দীর্ঘ গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতির পর আট বছর আগে নেপাল থেকে রাজতন্ত্রের অবসান হয়। তার পর থেকেই রাজনৈতিক অস্থিরতার শিকার ভারতের উত্তর প্রান্তের এই প্রতিবেশী রাষ্ট্র। আট বছরে এই নিয়ে আট বার প্রধানমন্ত্রী বদল হল। বুধবারের আস্থা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতার রাস্তাতেই হাঁটেননি নেপালের পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী ওলি। ৫৯৫ সদস্যের পার্লামেন্টে যে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে পারবেন, তিনিই প্রধানমন্ত্রী হবেন, পরিস্থিতি এমনই ছিল। সিপিএন-এম নেতা পুষ্প কমল দহল ওরফে প্রচণ্ডকে সমর্থন দেয় নেপালি কংগ্রেস। মোট ৫৭৩ জন ভোটাভুটিতে অংশ নিয়েছিলেন। তার মধ্যে ৩৬৩টি ভোট প্রচণ্ডের পক্ষে গিয়েছে।
১৯৯০ সালে রাজতন্ত্রের অধীনে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সেই থেকে এ পর্যন্ত ২৬ বছরে নেপালের ২৪ তম প্রধানমন্ত্রী হলেন প্রচণ্ড।
আরও পড়ুন: ঢাকা-ইসলামাবাদ সম্পর্ক তলানিতে, পাকিস্তান যাচ্ছেন না বাংলাদেশের স্বরাষ্টমন্ত্রী
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy