কেনেডি মিচাম। ছবি- টুইটারের সৌজন্যে।
‘জাতিবিদ্বেষ’ শব্দের সংজ্ঞা বদলে দিল মার্কিন অনলাইন অভিধান (ডিকশনারি) ‘মেরিয়াম-ওয়েবস্টার’। এক কৃষ্ণাঙ্গ তরুণীর পরামর্শে। যাতে এই শব্দে আরও ভাল ভাবে বোঝা যায়, এই বিদ্বেষের আদত রূপটা কী। কৃষ্ণাঙ্গদের কতটা নির্যাতিত হতে হয় এই বিদ্বেষে, শুধুই গায়ের রং কালো বলে।
মার্কিন মুলুকের আইওয়ায় ড্রেক বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য স্নাতক কেনেডি মিচাম শব্দটির সংজ্ঞা বদলানোর জন্য সরাসরি চিঠি দিয়েছিলেন মেরিয়াম-ওয়েবস্টার কর্তৃপক্ষকে। কারণ, তাঁর মনে হয়েছিল, অভিধানে শব্দটির যে সংজ্ঞা রয়েছে, তার অর্থ দাঁড়ায়, এর শিকার যেন শুধুই কোনও ব্যক্তি! মিচামের বক্তব্য ছিল, এটি কোনও ব্যক্তির বিষয় নয়। বিশেষ একটি গোষ্ঠীর উপর নির্যাতন।
‘সিমিলারওয়েব’ নামে একটি অনলাইন সমীক্ষক সংস্থা জানাচ্ছে, এ বছরের মে মাসে অনলাইনে মেরিয়াম-ওয়েবস্টার অভিধানের ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৫ কোটি।
মিচাম সাংবাদিকদের বলেছেন, “এটা যে বিশেষ একটি গোষ্ঠীর উপর পরিকল্পিত নির্যাতন, তাঁদের দাবিয়ে রাখার প্রয়াস, আমি মূলত এটাই বলেছিলাম অভিধান কর্তৃপক্ষকে। আমার মনে হয়নি, এটা নিছক কোনও ব্যক্তিকেন্দ্রিক ঘটনা।’’
আরও পড়ুন- সংক্রমণে মুম্বই ছাপিয়ে গেল উহানকে, দেশে মোট আক্রান্ত ২.৭৬ লক্ষ
আরও পড়ুন- এ বার ফিরতে পারে হাম, পোলিও, রুবেলার মহামারি, বিপন্ন আট কোটি শিশু, হুঁশিয়ারি হু, ইউনিসেফের
মেরিয়াম-ওয়েবস্টার-এর এ়ডিটোরিয়াল ম্যানেজার পিটার সোকোলোওস্কি জানিয়েছেন, মিচামের পরামর্শ মেনে নেওয়া হয়েছে। শব্দটির সংজ্ঞা বদলানো হচ্ছে। অভিধানের পরবর্তী সংস্করণ সেই নতুন সংজ্ঞাটি থাকবে।
মেরিয়াম-ওয়েবস্টার-এর অভিধানে ‘জাতিবিদ্বেষ’ শব্দের তিনটি সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। সোকোলোওস্কি জানিয়েছেন, দ্বিতীয় সংজ্ঞাটি নিয়ে মিচামের পরামর্শ মেনে নেওয়া হয়েছে। সেটি সংশোধন করা হবে পরবর্তী সংস্করণে, মিচামের পরামর্শ মতো।
অভিধানে ‘জাতিবিদ্বেষ’ শব্দের দ্বিতীয় সংজ্ঞায় লেখা হয়েছে, “জাতিবিদ্বেষ সম্পর্কে ধারণার ভিত্তিতে এটা একটি মতাদর্শ বা রাজনৈতিক কর্মসূচি। যা তার নীতিগুলিকে কার্যকর করে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy