Advertisement
০৭ মে ২০২৪

গোল্লায় যাচ্ছে দেশ, ট্রাম্পের নিন্দায় রমনি

সমালোচনার পাশাপাশি ট্রাম্পের কর-নীতি, চিন সম্পর্কে অবস্থান নিয়ে প্রশংসা করেছেন রমনি। তবে এটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন, এগুলো ঠিক ট্রাম্পের নীতি নয়, রিপাবলিকান পার্টির সিদ্ধান্ত।

যুযুধান: ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মিট রমনি।

যুযুধান: ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মিট রমনি।

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০১৯ ০১:১৭
Share: Save:

নিজের দলে আগেও সমালোচিত হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ বার তাঁকে আক্রমণ করলেন তাঁরই প্রাক্তন প্রতিদ্বন্দ্বী, ২০১৬-র ভোটের আর এক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী মিট রমনি। প্রশ্ন তুললেন তাঁর কর্মদক্ষতা নিয়েও। রমনির অভিযোগ, ট্রাম্প দেশকে ভাগ করছেন, সম্পর্ক খারাপ করে ফেলছেন বন্ধু দেশগুলোর সঙ্গে।

মঙ্গলবার একটি প্রথম সারির মার্কিন দৈনিককে রমনি বলেন, ‘‘ট্রাম্পের জমানায় দেশের ভয়াবহ অধঃপতন ঘটেছে।’’ প্রতিরক্ষা সচিব পদ থেকে জিম ম্যাটিসের সরে যাওয়া কিংবা হোয়াইট হাউস চিফ অব স্টাফ জন কেলির পদত্যাগ নিয়েও ট্রাম্পকেই দায়ী করেছেন রমনি। লিখেছেন, ‘‘গুরুত্বপূর্ণ পদে কম অভিজ্ঞতাসম্পন্ন লোককে নিয়োগ করা হচ্ছে। যে সব দেশ আমেরিকার পাশে থেকে লড়েছে, তাদের আলাদা করে দেওয়া হচ্ছে। প্রেসিডেন্টের ভিত্তিহীন দাবি, আমেরিকাকে নাকি বিভিন্ন দেশ ‘শুষে’ নিয়েছে। এই সব কথা থেকেই বোঝা যায়, ওঁর প্রেসিডেন্সির অবস্থা কতটা খারাপ।’’

সমালোচনার পাশাপাশি ট্রাম্পের কর-নীতি, চিন সম্পর্কে অবস্থান নিয়ে প্রশংসা করেছেন রমনি। তবে এটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন, এগুলো ঠিক ট্রাম্পের নীতি নয়, রিপাবলিকান পার্টির সিদ্ধান্ত। রমনির কথায়, ‘‘একটা দেশের চরিত্র গড়ে তোলে তার প্রেসিডেন্ট। তিনি সবাইকে জুড়ে রাখেন, উদ্বুগ্ধ করেন। আমরা সত্যিই এমন প্রেসিডেন্টই পেয়ে এসেছি।’’ উটা প্রদেশের নব নির্বাচিত সেনেটরের অভিযোগ, ট্রাম্পের জমানায় দেশ বহু-বিভক্ত, মানুষের মনে তিক্ততা ভয়াবহ, তাঁরা ক্ষুব্ধ। শুধু দেশেই নয়, ট্রাম্প যা বলছেন আর যা করছেন, তাতে গোটা বিশ্বে আমেরিকার প্রতি হতাশা তৈরি হচ্ছে। একটি সমীক্ষা রিপোর্টও তুলে ধরেছেন রমনি। তাতে ধরা পড়েছে ২০১৬ সালে জার্মানি, ব্রিটেন, ফ্রান্স, কানাডা ও সুইডেনের ৮৪ শতাংশ মানুষ মনে করতেন, ট্রাম্প সঠিক কাজই করবেন। মানুষের সেই ভরসা এ বছর কমে দাঁড়িয়েছে ১৬ শতাংশ।

গত বছর ফেব্রুয়ারিতে রমনিকে উটা-র সেনেটর করার জন্য প্রচার করেছিলেন ট্রাম্পই। যদিও রমনির মন্তব্যে এখন অনেকেই মনে করছেন, ২০২০-র ভোটে প্রেসিডেন্ট পদের মনোনয়ন পেতে গিয়ে দলের মধ্যে চাপে পড়তে হবে ট্রাম্পকে। হোয়াইট হাউস অবশ্য সব শুনেও এখনও চুপ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Donald Trump Mitt Romney United States
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE