Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

সীমান্ত পেরিয়ে ‘ব্রিটেন-স্ট্রেন’ মিলল ৯ দেশে

ফ্রান্সে যাঁর শরীরে স্ট্রেনটি ধরা পড়েছে, তিনি ১৯ ডিসেম্বর ব্রিটেন থেকে ফিরেছিলেন। দু’দিন বাদে হাসপাতালে পরীক্ষা করাতেই ধরা পড়ে।

n বড়দিনে দেখা: কাচের দেওয়ালের ও-পারে করোনা-আক্রান্ত বাবা। এ-পারে মেয়ে। ভিডিয়ো-কলে দেখালেন পরিবারের বাকিদেরও। ব্রুকলিনের একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। রয়টার্স

n বড়দিনে দেখা: কাচের দেওয়ালের ও-পারে করোনা-আক্রান্ত বাবা। এ-পারে মেয়ে। ভিডিয়ো-কলে দেখালেন পরিবারের বাকিদেরও। ব্রুকলিনের একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। রয়টার্স

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:৪৬
Share: Save:

সীমান্ত আটকেও লাভ হল না। করোনাভাইরাসের অতি-সংক্রামক ‘ব্রিটেন-স্ট্রেন’ ধরা পড়ল ফ্রান্স, স্পেন, জাপান-সহ বেশ কিছু দেশে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র ইউরোপের আঞ্চলিক কর্তা হান্স ক্লুগ দাবি করেছেন, এই মহাদেশের অন্তত আটটি দেশে স্ট্রেনটি মিলেছে। হু-র পক্ষ থেকে গোটা পরিস্থিতির উপরে নজর রাখা হচ্ছে।

স্পেনে চার জনের শরীরে ‘ব্রিটেন-স্ট্রেন’ সংক্রমণ ধরা পড়েছে। চার জনেই সম্প্রতি ব্রিটেন থেকে ফিরেছিল। মাদ্রিদের স্বাস্থ্যকর্তা অ্যান্টোনিয়ো জ়াপাটেরো বলেন, ‘‘কেউই খুব গুরুতর অসুস্থ নয়। আমরা জানি, স্ট্রেনটি খুবই সংক্রামক। কিন্তু তার জন্য জটিলতা বাড়ছে না। এখনই বিপদঘণ্টি বাজানোর মতো কিছু হয়নি।’’ স্পেনে আরও জনা তিনেক ব্যক্তি এই স্ট্রেনে আক্রান্ত হয়েছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তাঁদের টেস্ট রিপোর্ট এখনও আসেনি। নয়া-স্ট্রেন-আতঙ্কে স্পেন-সহ অন্তত ৫০টি দেশ সে দেশের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হয়নি।

জাপানে পাঁচ জনের শরীরে ব্রিটেন-স্ট্রেন সংক্রমণ ধরা পড়েছে। ফ্রান্সে এক জনের দেহে মিলেছে স্ট্রেনটি। জাপানে দীর্ঘদিন হল সংক্রমণ অনেকটা কমে এসেছিল। কিন্তু এ মাসে দৈনিক সংক্রমণ ফের ৩ হাজার ছুঁয়েছে। জাপানে যে পাঁচ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছে, তাঁরাও ব্রিটেন-ফেরত। কোয়রান্টিনে রাখা হয়েছে সকলকে। প্রশাসনের তরফ থেকে খোঁজ নেওয়া চলছে, ওই পাঁচ জনের সংস্পর্শে এসেছেন কারা।

ফ্রান্সে যাঁর শরীরে স্ট্রেনটি ধরা পড়েছে, তিনি ১৯ ডিসেম্বর ব্রিটেন থেকে ফিরেছিলেন। দু’দিন বাদে হাসপাতালে পরীক্ষা করাতেই ধরা পড়ে ‘ভিওসি ২০২০১২/০১ পজ়িটিভ’। তাঁর শরীরে অবশ্য কোনও উপসর্গ নেই। স্বেচ্ছানিভৃতবাসে রয়েছেন ওই ব্যক্তি।

সম্ভাব্য টিকা কিছু কিছু দেশে ছাড়পত্র পেলেও সংক্রমণ কমার লক্ষণ নেই। বরং মিউটেশন ঘটে ভাইরাস আরও সংক্রামক হয়ে উঠেছে। গত কাল ৮ কোটি ছাড়িয়েছে মোট আক্রান্তের সংখ্যা। হু-কর্তা ক্লুগের মতে, এই পরিস্থিতিতে সুরক্ষাবিধির উপরে জোর দেওয়া ছাড়া উপায় নেই। ক্লুগ টুইট করেন, ‘‘ইউরোপে আটটি দেশে ওই স্ট্রেনটি ধরা পড়েছে। সুরক্ষাবিধি, যেমন, দূরত্ব বজায়/ মাস্ক পরা/ বাড়িতে থাকা, এ সব মেনে চলতে হবে।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘‘ব্রিটেন-স্ট্রেনে কমবয়সিদের বেশি আক্রান্ত হতে দেখা যাচ্ছে। অন্য স্ট্রেনে এ রকম ছিল না। গবেষণাগারে ভাইরাস স্ট্রেনটি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে নজরদারিও প্রয়োজন।’’

করোনা-অতিমারিতে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা আমেরিকার। আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটি ছুঁইছুঁই। এই পরিস্থিতিতেও বেঁকে বসেছেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী শনিবার বছর শেষের সঙ্গে সঙ্গেই বেকারত্ব সুযোগ-সুবিধার পুরনো চুক্তি ফুরোবে। কিন্তু ট্রাম্প নতুন ২৩০০০০ কোটি ডলার অতিমারি-বাবদ সাহায্য চুক্তিতে সই করতে নারাজ। তাঁর বক্তব্য, এই অর্থ যথেষ্ট নয়। এতে কারও কোনও উপকার হবে না। কিন্তু বিদায়ী প্রেসিডেন্ট সই না-করলে এক কোটির উপরে আমেরিকাবাসী
বিপদে পড়বেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Britain Strain
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE