জাপান উপকূলে সমুদ্রে অগ্নুৎপাত। —ফাইল চিত্র।
সমুদ্রে নিমজ্জিত আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের ফলে প্রশান্ত মহাসাগরে তৈরি হল নতুন দ্বীপ। জাপানের পূর্ব উপকূল সংলগ্ন সাগরে ওগাসাওয়ারা দ্বীপপুঞ্জের মধ্যেই নতুন দ্বীপটি তৈরি হয়েছে। সমুদ্রের মাঝখান থেকে দ্বীপটিকে জেগে উঠতে দেখেছেন সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, সমুদ্রের মধ্যে তীব্র শব্দ করে অগ্নুৎপাত হয়। তার পর বালি ছিটকে উপরে উঠতে দেখা যায়। সে ভাবেই নতুন দ্বীপ জন্ম নিয়েছে।
জাপানের পূর্ব উপকূলের সমুদ্রে যে কিছু হতে চলেছে, গত কয়েক দিন ধরেই তার আভাস পেয়েছিলেন আবহবিদেরা। জাপানের মৌসম ভবন জানিয়েছে, ওগাসাওয়ারার আয়োটো দ্বীপে গত ২১ অক্টোবর থেকে কয়েক মিনিটের ব্যবধানে মৃদু ভূমিকম্প হচ্ছিল। তার পরেই অগ্নুৎপাতের খবর প্রকাশ্যে এসেছে। ওই দ্বীপে জাপানের নৌবাহিনীর একটি বিমান ঘাঁটি রয়েছে। তারাই জানিয়েছে, গত ১ নভেম্বর তাদের চোখের সামনে নতুন দ্বীপ গজিয়ে উঠেছে প্রশান্ত মহাসাগরে।
জাপান নৌবাহিনীর কয়েক জন সদস্য এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। তাঁরা জানিয়েছেন, আচমকা একটি প্রচণ্ড জোরালো শব্দ তাঁরা শুনতে পান সমুদ্রের দিক থেকে। তার পর দেখা যায় জল থেকে ছিটকে উঠছে বালি। পরে শব্দ থামলে নতুন দ্বীপ গড়ে উঠতে দেখা গিয়েছে আয়োটোর কাছেই।
ওই এলাকায় জলের নীচে একটি আগ্নেয়গিরির উপস্থিতি জানা ছিল সকলেরই। তার উৎসমুখের উপরেই নতুন দ্বীপটি গড়ে উঠেছে বলে মনে করা হচ্ছে। জাপান মৌসম ভবনের এক আধিকারিক বলেন, আগ্নেয়গিরি থেকে বিপুল পরিমাণে পাথর এবং বালি নিঃসৃত হয়েছে। সেগুলি সমুদ্রের তলদেশে জমতে জমতে এই দ্বীপটি তৈরি হয়েছে।
জাপানের ওই এলাকা ভূমিকম্পপ্রবণ। আগেও এ ভাবে সমুদ্রের মাঝে নতুন দ্বীপ সেখানে গড়ে উঠতে দেখা গিয়েছে। তবে প্রতি ক্ষেত্রেই সেগুলি কয়েক মাসের মধ্যে আবার সমু্দ্রে ডুবেও গিয়েছে। সমুদ্র সেখানে এমনিতেই উত্তাল। যে কারণে নতুন দ্বীপ থিতু হতে পারেনি। ওই এলাকায় অগ্নুৎপাতের কারণে আগামী কয়েক দিন ধোঁয়া এবং ছাই নিঃসৃত হবে বলে সতর্ক করেছে মৌসম ভবন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy