Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
egypt

তিন হাজার বছরের ঘুম ভেঙে মিশরে জেগে উঠল এই স্ফিংস

মিশর প্রত্নতাত্ত্বিকদের বিস্ময়। সম্প্রতি সেখানে খনন চালিয়ে পাওয়া গেল তিন হাজার বছরের পুরনো মিশরীয় দেবতা স্ফিংস-এর এক মূর্তি যার মুখমণ্ডল ভেড়ার মত।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০১৯ ১৫:২৬
Share: Save:
০১ ১৩
মিশর প্রত্নতাত্ত্বিকদের বিস্ময়। সম্প্রতি সেখানে খনন চালিয়ে পাওয়া গেল তিন হাজার বছরের পুরনো মিশরীয় দেবতা স্ফিংস-এর এক মূর্তি যার মুখমণ্ডল ভেড়ার মতো।

মিশর প্রত্নতাত্ত্বিকদের বিস্ময়। সম্প্রতি সেখানে খনন চালিয়ে পাওয়া গেল তিন হাজার বছরের পুরনো মিশরীয় দেবতা স্ফিংস-এর এক মূর্তি যার মুখমণ্ডল ভেড়ার মতো।

০২ ১৩
সুইডেন এর লান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার দল এবং মিশরীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগের যৌথ প্রচেষ্টায় সংঘটিত এই খননকার্যে এ ছাড়াও পাওয়া গেছে হাইরো গ্লিফিক অক্ষরে লিখিত ৩ হাজার ৩৫০বছর আগেকার এক লিপি, বাজপাখির এক মূর্তি।

সুইডেন এর লান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার দল এবং মিশরীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগের যৌথ প্রচেষ্টায় সংঘটিত এই খননকার্যে এ ছাড়াও পাওয়া গেছে হাইরো গ্লিফিক অক্ষরে লিখিত ৩ হাজার ৩৫০বছর আগেকার এক লিপি, বাজপাখির এক মূর্তি।

০৩ ১৩
তা ছাড়াও পাওয়া গেছে ডানাওয়ালা সূর্যের খোদাই করা এক ভাস্কর্য যা প্রাচীন মিশরে অমরত্ব এবং বীরত্বের প্রতীক হিসেবে মানা হত।

তা ছাড়াও পাওয়া গেছে ডানাওয়ালা সূর্যের খোদাই করা এক ভাস্কর্য যা প্রাচীন মিশরে অমরত্ব এবং বীরত্বের প্রতীক হিসেবে মানা হত।

০৪ ১৩
পাওয়া গেছে অপেক্ষাকৃত ছোট আকারের স্ফিংস-এর এক মূর্তি যা প্রত্নতাত্ত্বিকদের মতে বড় মূর্তিটি নির্মাণের আগে ‘ডেমো’ হিসেবেই বানানো হয়েছিল।

পাওয়া গেছে অপেক্ষাকৃত ছোট আকারের স্ফিংস-এর এক মূর্তি যা প্রত্নতাত্ত্বিকদের মতে বড় মূর্তিটি নির্মাণের আগে ‘ডেমো’ হিসেবেই বানানো হয়েছিল।

০৫ ১৩
স্ফিংস হল এক প্রাচীন অবয়ব যার উল্লেখ গ্রিক ও মিশরীয় সভ্যতায় পাওয়া যায়। গ্রিসে স্ফিংসকে নরকের রক্ষাকর্তা বা নরকের প্রহরী হিসেবে মানা হলেও মিশরে একে উপকারী দেবতা মনে করা হয়।

স্ফিংস হল এক প্রাচীন অবয়ব যার উল্লেখ গ্রিক ও মিশরীয় সভ্যতায় পাওয়া যায়। গ্রিসে স্ফিংসকে নরকের রক্ষাকর্তা বা নরকের প্রহরী হিসেবে মানা হলেও মিশরে একে উপকারী দেবতা মনে করা হয়।

০৬ ১৩
এর শরীরের পেছনের অংশ সিংহের মত, প্রায়ই  পাখির মতো বড় ডানা থাকে এবং মুখমন্ডল সাধারণত মানুষের মুখ সদৃশ।

এর শরীরের পেছনের অংশ সিংহের মত, প্রায়ই পাখির মতো বড় ডানা থাকে এবং মুখমন্ডল সাধারণত মানুষের মুখ সদৃশ।

০৭ ১৩
ভেড়ার মুখমণ্ডল বিশিষ্ট আবিষ্কৃত স্ফিংসটি ক্রিওসস্ফিংস নামে পরিচিত। এটির উচ্চতা ৫ মিটার এবং প্রস্থ ৩.৫ মিটার। কালের প্রবাহে এর মাথার দিকটা বেশ কিছুটা ক্ষয়ে গিয়েছে।

ভেড়ার মুখমণ্ডল বিশিষ্ট আবিষ্কৃত স্ফিংসটি ক্রিওসস্ফিংস নামে পরিচিত। এটির উচ্চতা ৫ মিটার এবং প্রস্থ ৩.৫ মিটার। কালের প্রবাহে এর মাথার দিকটা বেশ কিছুটা ক্ষয়ে গিয়েছে।

০৮ ১৩
ক্রিওসস্ফিংস সাধারণত রাজার ক্ষমতার ও শৌর্যের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হত। বাঁকানো শিং, ভেড়ার মতো মুখ এবং সিংহের মতো শরীর সব মিলিয়ে অদ্ভুত এই দেবতা সে সময় রাজাদের বীরত্বের প্রমাণ হিসেবে পূজিত হত।

ক্রিওসস্ফিংস সাধারণত রাজার ক্ষমতার ও শৌর্যের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হত। বাঁকানো শিং, ভেড়ার মতো মুখ এবং সিংহের মতো শরীর সব মিলিয়ে অদ্ভুত এই দেবতা সে সময় রাজাদের বীরত্বের প্রমাণ হিসেবে পূজিত হত।

০৯ ১৩
মনে করা হয় রোমান আক্রমণ স্ফিংস-এর মূর্তিগুলি ধ্বংস করে দেয়।

মনে করা হয় রোমান আক্রমণ স্ফিংস-এর মূর্তিগুলি ধ্বংস করে দেয়।

১০ ১৩
গবেষণাকারীরা মনে করছেন, বিস্তৃত অঞ্চল জুড়ে অবস্থিত বহু প্রাচীন এই কর্মশালা মিশরের আঠেরোতম রাজবংশের ফারাও তুতেনখামেনের পিতামহ আমেনহোতেপ তৃতীয় –এর সময়কার।

গবেষণাকারীরা মনে করছেন, বিস্তৃত অঞ্চল জুড়ে অবস্থিত বহু প্রাচীন এই কর্মশালা মিশরের আঠেরোতম রাজবংশের ফারাও তুতেনখামেনের পিতামহ আমেনহোতেপ তৃতীয় –এর সময়কার।

১১ ১৩
ফারাও আমেনহোতেপ তৃতীয় মাত্র বারো বছর বয়সে রাজার আসনে বসেন। তাঁর পত্নী রানী ‘তিয়ে’ তাঁর শাসনকালে সর্বক্ষণ তাঁর পাশে থেকে একসঙ্গে দেশ শাসন করেছেন। প্রায় চল্লিশ বছর তিনি মিশরে রাজত্ব করেন।

ফারাও আমেনহোতেপ তৃতীয় মাত্র বারো বছর বয়সে রাজার আসনে বসেন। তাঁর পত্নী রানী ‘তিয়ে’ তাঁর শাসনকালে সর্বক্ষণ তাঁর পাশে থেকে একসঙ্গে দেশ শাসন করেছেন। প্রায় চল্লিশ বছর তিনি মিশরে রাজত্ব করেন।

১২ ১৩
খ্রিস্টপূর্ব ১৩৫৪ সালে আমেনহোতেপ তৃতীয় মারা যান এবং দায়িত্ব পান তাঁর পুত্র ফারাও আখেন্তান।

খ্রিস্টপূর্ব ১৩৫৪ সালে আমেনহোতেপ তৃতীয় মারা যান এবং দায়িত্ব পান তাঁর পুত্র ফারাও আখেন্তান।

১৩ ১৩
রহস্যে ভরা এই দেশটি বরাবরই পরিচালক থেকে লেখক, পুরাতত্তববিদ থেকে পর্যটক- সবারই পছন্দের। এখানে সবসময়ই ইতিহাস উঁকি দিচ্ছে প্রাচীন পিরামিডের গায়ে অথবা মাটির নিচে ঘুমিয়ে থাকা হাজার হাজার বছর পুরনো মমির মাধ্যমে।তিন হাজার বছরের পুরনো এই কর্মশালা টি আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে তাতে আরও একটি পালক যোগ হল।

রহস্যে ভরা এই দেশটি বরাবরই পরিচালক থেকে লেখক, পুরাতত্তববিদ থেকে পর্যটক- সবারই পছন্দের। এখানে সবসময়ই ইতিহাস উঁকি দিচ্ছে প্রাচীন পিরামিডের গায়ে অথবা মাটির নিচে ঘুমিয়ে থাকা হাজার হাজার বছর পুরনো মমির মাধ্যমে।তিন হাজার বছরের পুরনো এই কর্মশালা টি আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে তাতে আরও একটি পালক যোগ হল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE