Advertisement
E-Paper

পাক সেনার জন্য আর অনুদান নয়: বাজেটে প্রস্তাব ট্রাম্প প্রশাসনের

পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর জন্য আর কোনও অনুদান নয়, এ বার থেকে টাকা দেওয়া হবে ঋণ হিসেবে। মার্কিন কংগ্রেসে এমনই প্রস্তাব দিল প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকার। আজ মার্কিন কংগ্রেসে ট্রাম্প জমানার প্রথম বাজেট পেশ হচ্ছে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০১৭ ১৫:১৭
নিজের জমানার প্রথম বাজেটেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যে প্রস্তাব দিয়েছেন, তা নওয়াজদের দুশ্চিন্তা আরও বাড়াচ্ছে। —ফাইল চিত্র।

নিজের জমানার প্রথম বাজেটেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যে প্রস্তাব দিয়েছেন, তা নওয়াজদের দুশ্চিন্তা আরও বাড়াচ্ছে। —ফাইল চিত্র।

পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর জন্য আর কোনও অনুদান নয়, এ বার থেকে টাকা দেওয়া হবে ঋণ হিসেবে। মার্কিন কংগ্রেসে এমনই প্রস্তাব দিল প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকার। আজ মার্কিন কংগ্রেসে ট্রাম্প জমানার প্রথম বাজেট পেশ হচ্ছে। হোয়াইট হাউস থেকে যে বাজেট প্রস্তাব মার্কিন কংগ্রেসে পাঠানো হয়েছে, তাতেই পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনীর উন্নতির জন্য আর কোনও অনুদান না দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন ট্রাম্প। তবে প্রতিরক্ষা বিভাগই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলেও বাজেট প্রস্তাবে জানানো হয়েছে।

মার্কিন ফরেন মিলিটারি ফান্ডিং (এফএমএফ) প্রকল্পের আওতায় বেশ কিছু দেশের সশস্ত্র বাহিনীই আমেরিকার কাছ থেকে মোটা অঙ্কের আর্থিক অনুদান পায়। পাকিস্তানের নাম সেই তালিকায় দীর্ঘ দিন ধরেই উপরের দিকে ছিল। আমেরিকা বার বারই জানিয়েছে, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই তীব্র করার জন্যই পাক সেনাবাহিনীর শক্তিশালী হওয়া দরকার। কিন্তু বলাই বাহুল্য, আমেরিকার কাছ থেকে ফি বছর মোটা টাকা নিলেও, আমেরিকার দেওয়া শর্ত পাকিস্তান পূরণ করেনি। এফএমএফ প্রকল্পের টাকায় পাক সেনাবাহিনী তার শক্তি বাড়িয়েছে ঠিকই, কিন্তু জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সে ভাবে কোনও পদক্ষেপ করেনি। বরং ভারত-বিরোধী, আফগান-বিরোধী এবং ইরান-বিরোধী জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে পাকিস্তান নিরাপদে নিজেদের ভূখণ্ডে বাড়তে দিয়েছে। বার বার ওয়াশিংটন এ নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে ইসলামাবাদকে। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। তাই ফরেন মিলিটারি ফান্ডিং-এর আওতায় পাকিস্তানকে আর কোনও অনুদান দিতে চাইছে না আমেরিকা। পাক সেনার উন্নতির জন্য যদি পাকিস্তানকে অর্থসাহায্য দিতেই হয়, তা হলে ঋণ হিসেবে দেওয়া হবে, অনুদান হিসেবে আর নয়— মার্কিন কংগ্রেসে এমন প্রস্তাবই দেওয়া হয়েছে।

সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ না হলে পাকিস্তানকে আর কোনও সুবিধা দেওয়া হবে না— এই বার্তাই কি দিতে চাইছেন ট্রাম্প? —ফাইল চিত্র।

ভারতের মতো সংসদীয় গণতান্ত্রিক দেশে অর্থমন্ত্রী নিজে আইনসভায় বাজেট পেশ করেন। আমেরিকায় তা হয় না। সেখানে প্রেসিডেন্টের তরফ থেকে বাজেট প্রস্তাব আইনসভায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেই বাজেট প্রস্তাবের উপরেই আলোচনা হয়। হোয়াইট হাউস থেকে পাঠানো সেই প্রস্তাবেই পাকিস্তানকে অনুদানের বদলে ঋণ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন: সফল ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা, খুশি কিম

মার্কিন বাজেট বিভাগের শীর্ষকর্তা মিক মুলভ্যানে জানিয়েছেন, শুধু পাকিস্তান নয়, আরও বেশ কয়েকটি দেশকে ফরেন মিলিটারি ফান্ডিং-এর আওতায় অনুদান দেওয়া বন্ধ করার প্রস্তাব দিয়েছে হোয়াইট হাউস। ঋণ হিসেবে টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে এটি কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয় বলে তিনি জানান। এই প্রস্তাবের উপর মার্কিন কংগ্রেসে আলোচনা হবে এবং প্রতিরক্ষা বিভাগই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।

আমেরিকার কাছ থেকে দীর্ঘ দিন ধরে যে অনুদান পাকিস্তান পেয়ে আসছে, তা যদি এই ভাবে আচমকা বন্ধ হয়ে যায়, তা হলে ইসলামাবাদ নিঃসন্দেহে বড় ধাক্কা খাবে। ওয়াকবিহাল মহল বলছে, হোয়াইট হাউসের এই প্রস্তাবের পিছনে মূলত দু’টি কারণ। প্রথমত, পাকিস্তান সন্ত্রাস নির্মূল করতে কোনও পদক্ষেপ করছে না। দ্বিতীয়ত, মার্কিন সামরিক বাহিনীর পিছনে আরও বেশি খরচ করার তাগিদে ফরেন মিলিটারি ফান্ডিং খাতে ব্যয় কমাতে চাইছেন ট্রাম্প। তাই পাকিস্তানকে প্রদেয় অনুদানে কোপ পড়তে পারে। তবে ইজরায়েল এবং মিশরকে যে টাকা আমেরিকা অনুদান হিসেবে দেয়, তাতে কোনও কোপ পড়ছে না বলে ওয়াশিংটন সূত্রে জানা গিয়েছে।

USA-Pakistan International Affairs White House US Congress Foreign Military Funding Donald Trump ডোনাল্ড ট্রাম্প
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy