শেরিন ম্যাথিউস। —ফাইল চিত্র।
পাড়ার হাসিখুশি ছোট্ট মেয়েটার এমন পরিণতি মেনে নিতে পারছেন না কেউই।
গত সোমবার উদ্ধার হয়েছিল সপ্তাহ দুয়েক ধরে নিখোঁজ খুদে শেরিন ম্যাথিউসের দেহ। প্রথম থেকেই গোয়েন্দারা আশঙ্কা করছিলেন, উদ্ধার হওয়া দেহটি শিরিনেরই। অবশেষে গতকাল টেক্সাস পুলিশ জানিয়ে দেয়, আশঙ্কা সত্যি। দেহটি শেরিনেরই। কালই গ্রেফতার করা হয় তার পালক বাবা ওয়েসলিকে।
পুলিশের সন্দেহ, শুধু ওয়েসলিই নয়, এই ঘটনায় আরও কয়েক জন জড়িত। তদন্তে তারা কারা জানা গেলে, তাদেরও গ্রেফতার করা হবে। আর ওয়েসলির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হওয়ার সম্ভাবনাও প্রবল।
প্রথম থেকেই তদন্তকে ভুল পথে চালনা করার চেষ্টা করে যাচ্ছিল ওয়েসলি। গতকাল বয়ান বদলে জানায়, জোর করে দুধ খাওয়াতে গিয়ে বিষম লেগেছিল শেরিনের। তাতেই শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় শিশুটির। শেরিন মারা যাওয়ার পরে ওয়েসলি বাড়ি থেকে কিছু দূরে গিয়ে শেরিনের দেহটি পুঁতে এসেছিল। সোমবার সেই দেহই উদ্ধার হয়েছিল।
শেরিনের মৃত্যুর খবর প্রকাশিত হতেই শোকস্তব্ধ গোটা রিচার্ডসন। মৃত্যুর আসল কারণ জেনে ক্ষোভে ফুঁসছেন পড়শিরা। অনেকে আবার ওয়েসলির দেওয়া এই তথ্যও মানতে নারাজ। তাঁদের দাবি, মিথ্যে বলছে ওয়েসলি। হয়তো অন্য কোনও ভাবে নির্যাতন করতে গিয়ে মারা গিয়েছে শিশুটি। পড়শিদের আশা, সত্যি ঘটনাটা শীঘ্রই সামনে আসবে।
এলাকার বাসিন্দাদের মনে এখন ঘুরপাক খাচ্ছে বেশ কিছু প্রশ্ন। তাঁদের বক্তব্য, যখন দুধ খাওয়াতে গিয়ে শিশুটির বিষম লাগল, তখন তার পালক বাবা কেন মাকে জাগালো না? আর এত কিছু ঘটে যাওয়ার পরেও মায়ের ঘুম কেন ভাঙল না?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy