এই পর্যন্ত ছবিটিকে নিয়ে কারও নজরে কোনও অস্বাভাবিকতা ধরা পড়েনি। কিন্তু এর পরই যখন অরল্যান্ডোর সমকামী নাইটক্লাবে বন্দুকবাজের হামলা হল, সেখানেও নিহতদের তালিকায় দেখা গেল সেই একই ছবি। এমনকী একটি বিদেশি সংবাদমাধ্যম নিহতদের স্মৃতির উদ্দেশে যে ভিডিও বানিয়েছিল, সেখানেও ঠাঁই পেলেন আলফনসো। কিন্তু খবরটা চাউর হওয়াতেই টনক নড়ল সেই সংবাদমাধ্যমের। তড়িঘড়ি ভিডিওটি থেকে সরিয়ে নেওয়া হল ছবিটি।
ভিডিও থেকে মু্ক্তি পেলেও ‘দুর্ঘটনা’ থেকে রেহাই পেলেন না আলফনসো। ইস্তানবুলের আতাতুর্ক বিমানবন্দরে বিস্ফোরণে যে ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে নাকি আলফনসো-ও ছিলেন। সুতরাং এই নিয়ে তৃতীয় বার মারা গেলেন তিনি!
খবরটা ছড়িয়ে পড়তেই খোঁজ পড়ল এই আলফনসোর। কে ইনি? বাস কোথায়? এত বার মারা যাচ্ছেন-ই বা কী ভাবে? জানা গেল, আসলে
তাঁর বন্ধুরা ইচ্ছাকৃত ভাবেই প্রথমে
তাঁর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেন। আলফনসো নাকি তাঁদের অর্থ নিয়ে ঠকিয়েছেন। তাই আইনি পদক্ষেপ করা হয়েছে আলফনসোর বিরুদ্ধে। তাই তাঁকে ‘শাস্তি’ দিতে আলফনসোর বন্ধুদের এই পদক্ষেপ। ‘আইনি’ লড়াইয়ের কথা আলফনসো স্বীকার করেছেন। তবে তিনি ঠকিয়েছেন কি না, সে বিষয়ে কথা বলতে চাননি।
শুধু অভিযোগ, ‘‘আমি ওঁদের (বন্ধুদের) বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করিনি।
কারণ, মেক্সিকোয় এই সব ক্ষেত্রে কিছুই হয় না!’’ তাই আইনি লড়াই শেষ না হওয়া পর্যন্ত আলফনসোর ছবি আবার হয়তো কোনও দুর্ঘটনায় ভেসে আসতে পারে।