ক্যামেরার সামনে সেই পাক যুবক। ছবি: সংগৃহীত।
পড়শি ভারত বিশ্বের প্রথম দেশ হিসাবে চাঁদের ‘কুমেরু’ জয় করে ইতিহাস গড়েছে। এই পরিস্থিতিতে বুধবার থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে ‘শত্রু’ পাকিস্তানের রাজনৈতিক মহল এবং আমজনতার মধ্যে। সমাজমাধ্যমে ভেসে আসছে পক্ষে-বিপক্ষে নানা মতামত।
ঈর্ষা আর শ্লেষের পাশাপাশি চন্দ্রযান-৩-এর সাফল্যকে প্রকাশ্যে কুর্নিশও জানাচ্ছেন পাক নাগরিকদের একাংশ। সেই সঙ্গে নিজেদের দেশের বেহাল আর্থিক পরিস্থিতি এবং পাক নাগরিকদের দুরবস্থা নিয়ে কটাক্ষও করেছেন।
ইমরান খানের মন্ত্রিসভায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর পদে থাকা ফাওয়াদ চৌধুরি খোলাখুলি ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর সাফল্যে খুশি প্রকাশ করেছেন। এমনকি, চাঁদের মাটিতে ল্যান্ডার বিক্রমের কয়েক ঘণ্টা আগেই ওই ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ সরাসরি পাকিস্তানের সরকারি টিভি চ্যানেলে সম্প্রচারের জন্য সে দেশের সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন তিনি। এর পরেই একটি পাক ইউটিউব চ্যানেল এ বিষয়ে জনমত সংগ্রহে সক্রিয় হয়। আর তাতেই উঠে আসতে শুরু করে নানা প্রতিক্রিয়া।
জনপ্রিয় পাক ইউটিউবার সোয়েব চৌধুরির ওই জনমত সংগ্রহে পাক জনতার একাংশ খোলাখুলি ভারতকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আবার কেউ মহাকাশ গবেষণায় পাকিস্তানের পিছিয়ে থাকাকে ব্যঙ্গ করে বলেছেন, ‘‘চাঁদে যাওয়ার দরকার কি? আমাদের জাতীয় পতাকাতেই তো চাঁদ রয়েছে।’’ কয়েক জন সরাসরি তাঁদের দেশের বেহাল আর্থিক পরিস্থিতি নিয়েও ব্যঙ্গ করেছেন। এক জন বলেছেন, ‘‘ওরা (ভারত) তো পয়সা খরচ করে চাঁদে গিয়েছে। আমরা তো চাঁদেই বাস করছি। চাঁদে জল, রান্নার গ্যাস, বিদ্যুৎ নেই। পাকিস্তানেও নেই।’’ সেই ভিডিয়ো পোস্ট করে সোয়েব সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘রসবোধে পাকিস্তানিরা সত্যিই সেরা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy