ভূমিকম্পের পর তিন মাস পেরিয়ে গিয়েছে। তবে আতঙ্ক কাটেনি। দেশজুড়ে এখনও রয়েছে পানীয় জলের অভাব।
স্কুল-কলেজ তো দূর অস্ত, মিলছে না মাথা গোঁজার ঠাইটুকুও। ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত নেপালের এই ছবিটাই তুলে ধরেছে লন্ডনের একটি ত্রাণ সংস্থা।
নেপালের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা, বিশেষত শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের সঙ্গে কথা বলে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ওই সংস্থা। সেখানে জানানো হয়েছে, নিরাপত্তার অভাবে ভুগছে নেপালের বড় একটা অংশ। মাথার উপর ছাদ না থাকায় বন্য প্রাণীর আক্রমণের সম্ভাবনা যেমন বেড়ে গিয়েছে, তেমনই বেড়েছে যৌন হেনস্থার আশঙ্কাও।
সিন্ধুপালচকের বাসিন্দা এক কিশোরীর কথায়, ‘‘আকাশের নীচে এ ভাবে দিন কাটানোয় হেনস্থার আশঙ্কা অনেক বে়ড়ে গিয়েছে।’’ চলতি মাসের প্রথম দিকে নেপালের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে একটি রিপোর্ট পেশ করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। সেখানে জানানো হয়েছে, ভূকম্পের তিন মাস পরেও নেপালের প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ সমস্যায় রয়েছেন।
যা নেপালের মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশের কাছাকাছি। ২৫ এপ্রিল এবং ১২ মে-র ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বর্তমানে ৯ হাজার ছুঁয়েছে বলে রাষ্ট্রপুঞ্জের ওই রিপোর্টে জানানো হয়েছে। লন্ডনের ত্রাণ সংস্থা জানিয়েছে, নেপালের বিভিন্ন প্রদেশে ঘুরে হাজার দু’য়েক শিশুর সঙ্গে কথা বলেছেন তাঁদের প্রতিনিধিরা। যার প্রেক্ষিতে এই রিপোর্ট পেশ করেছে ওই সংস্থা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy