—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
অতিমারির ভয়ঙ্কর প্রকোপে দু’বছর শুধু অনলাইনে ঠাকুর দেখেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল সিঙ্গাপুরবাসীদের। কিন্তু গত বছর থেকে পুজো আবার শুরু হয়েছে নতুন উদ্যমে। এ বছর মোট আটটি পুজো হবে মাত্র ৭২৮.৬ বর্গ কিলোমিটারের এই ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্রে।
সব থেকে বড় পুজো হয় ফেররের পার্কে। এই পুজোর উদ্যোক্তা ‘বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশন সিঙ্গাপুর’। বিশাল জায়গা জুড়ে বহু মানুষের আনাগোনাতে ওই পাঁচ দিন অতি আনন্দে কেটে যায়। এখানকার পুজোয় দুপুরে থাকে ভোগের আয়োজন আর প্রতি সন্ধেবেলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এখানে বিশাল সংখ্যক বাংলাদেশি রয়েছেন। তাঁদের পুজো হয় অত্যন্ত সুন্দর ভাবে নিয়ম মেনে, অঞ্জলি আর ভোগের ব্যবস্থাও থাকে দু’বেলা। খাবারের আয়োজন ছাড়াও এখানকার পুজোর বড় আকর্ষণ— সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রত্যেক বার বাংলাদেশি ব্যান্ড, বাউল ও বাঙালি চিত্রতারকারা এসে এখানকার পুজোকে আরও রঙিন করে তোলেন।
এ ছাড়া, রয়েছে রামকৃষ্ণ মিশনের পুজো। এই পুজো অন্য আর পাঁচটি পুজোর থেকে আলাদা ও মনোগ্রাহী। কোনও মূর্তি নয়, এখানে ছবি পুজো করা হয়। সন্ধ্যারতির সময়ে সমবেত সঙ্গীত উৎসবে একটি আলাদা মাত্রা যোগ করে। সন্ধেবেলায় থাকে বিপুল ভোগের আয়োজন। ছোটদের জন্য বসে আঁকো প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। ছোট ছোট অস্থায়ী স্টলের ব্যবস্থা থাকে। সেই সব দোকান থেকে যা লাভ হয়, তা যায় রামকৃষ্ণ মিশন চ্যারিটিতে।
এ বার পুজোর সময়ে বিশেষ বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা করা হবে বলে শুনেছি। প্রবীণ হোন বা নবীন, যাঁরা প্যান্ডেল হপিং করতে চান, তাঁরা এই সুবিধা ব্যবহার করতে পারবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy