জলমগ্ন শহর। ছবি এএফপি।
বড়দিনেই মধ্য ফিলিপিন্স দ্বীপে আছড়ে পড়েছিল প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘উসমান’। তার প্রভাবে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে অন্তত ২২ জন। তাদের মধ্যে রয়েছে তিন বছরের এক শিশুও।
মৃতদের ১৬ জন বিকঁ অ়ঞ্চলের বাসিন্দা। বাকি ছ’জন পূর্ব ভিসায়াস অঞ্চলের। খোঁজ নেই বহু মানুষের। বন্যায় ডুবেছে বিস্তীর্ণ অঞ্চল। সরকারি উদ্যোগে দ্রুত শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, বিকঁ ও পূর্ব ভিসায়াসে মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। বন্যার ডুবে ও ভূমিধ্বসের ফলেই বাড়ছে মৃত্যু হয়েছে অধিকাংশ মানুষের।
বিকঁ অ়ঞ্চলের অসামরিক প্রতিরক্ষা দফতরের প্রধান জানিয়েছেন, বেশির অঞ্চলই জলের তলায়। উদ্ধারকার্যে বাহিনী নামানো হয়েছে। পাঠানো হয়েছে রাবার বোটও। কিছু কিছু বাড়িতে বন্যার জল ছুঁয়েছে বাড়ির ছাদও।
ঝড়ের আশঙ্কায় আগেই বাড়ি ছেড়েছেন ২২ হাজার বাসিন্দা। স্থানীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রাণহানির পাশাপাশি ঝড়ের প্রভাব পড়েছে কৃষিজমিতেও। প্রচুর ধান ও ভুট্টা খেত জলের তলায়। বেশ কিছু রাস্তা ও সেতুতেও বন্ধ রয়েছে যান চলাচল। বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বন্দরেও আটকে পড়েছেন অনেকে। সরকারি পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে বাড়তে পারে জলস্তর। প্রশাসনিক তৎপরতা সত্ত্বেও আশঙ্কা, ফের বৃষ্টিপাতে বাড়তে পারে মৃতের সংখ্যা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy