ওড়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই আমেরিকার কেন্টাকিতে ভেঙে পড়ল বিমান। কেন্টাকির লুইভিল শহরে মুহাম্মদ আলি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড়েছিল বিমানটি। রানওয়ে ছাড়ার পরই সেটি ভেঙে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায় বিমানে। কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলীতে ঢেকে যায় এলাকা। দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত সাত জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। জখম হয়েছেন অন্তত ১১ জন।
স্থানীয় সময় অনুসারে, মঙ্গলবার বিকেল ৫টা নাগাদ মহম্মদ আলি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওনা দেয় ‘ইউনাইটেড পার্সেল সার্ভিস’ (ইউপিএস) উড়ান সংস্থার এমডি-১১ বিমানটি। পণ্যবাহী ওই বিমানটির গন্তব্য ছিল হনলুলুর কে ইনোইউ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। কিন্তু ও়়ড়ার পরে লুইভিল বিমানবন্দরের কাছে ভেঙে পড়ে এমডি-১১।
সংবাদমাধ্যম ‘সিএনএন’ জানাচ্ছে, দুর্ঘটনাস্থলের আশপাশে কয়েক মাইল এলাকা জুড়ে কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে। কেন্টাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেশার জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় অন্তত সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন আরও ১১ জন। যেহেতু সেটি পণ্যবাহী বিমান ছিল, তাই অনুমান করা হচ্ছে মৃত এবং আহতেরা বিমানকর্মী। কী কারণে এই দুর্ঘটনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। দুর্ঘটনার পর থেকে লুইভিল বিমানবন্দর সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন:
কেন্টাকির ওই শহরের মেয়র ক্রেগ গ্রিনবার্গ জানিয়েছেন, বুধবার (স্থানীয় সময় অনুসারে) বিমানবন্দর পুনরায় খোলা হতে পারে। দুর্ঘটনাস্থলের আশপাশের পাঁচ মাইল এলাকার বাসিন্দাদের আপাতত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার পরামর্শ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
বিমান দুর্ঘটনার পরই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নেবানোর চেষ্টা শুরু করেন দমকলকর্মীরা। সংবাদমাধ্যম বিবিসি অনুসারে, শতাধিক দমকলকর্মীকে দুর্ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। বিমান দুর্ঘটনার পরে এলাকাবাসীদের অনেকেই পরিজনদের খোঁজে হাসপাতালে ছুটতে শুরু করেছেন। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের তরফে তাঁদের অনুরোধ করা হয়েছে হাসপাতালে ভিড় না করার জন্য। পরিবর্তে লুইভিল পুলিশের তরফে যে শিবিরটি খোলা হয়েছে, সেখানে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে উদ্বিগ্ন এলাকাবাসীদের।