আঙুল তুলেছেন রাজপরিবারের প্রাক্তন দুই সদস্য। এনেছেন বর্ণবৈষম্যের গুরুতর অভিযোগ। এই অবস্থায় নীরবতা ভাঙতে দেরি করলেন না রানি দ্বিতীয় এলিজ়াবেথ। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বললেন, ‘‘হ্যারি ও মেগান মার্কলের শেষ কয়েকটা বছর কতটা কঠিন ছিল, তা জেনে গোটা পরিবার বিষণ্ণ। যে প্রসঙ্গগুলি তোলা হয়েছে, বিশেষ করে বর্ণবৈষম্যের, তা উদ্বেগজনক। এক-এক জনের স্মৃতির মধ্যে ফারাক হতে পারে, তবে এটা খুবই গুরুতর বিষয় হিসেবেই দেখা হচ্ছে। পরিবার বিষয়টি দেখবে। এবং পারিবারিক গোপনীয়তা বজায় রেখে তা করা হবে। হ্যারি, মেগান ও আর্চি পরিবারের খুবই প্রিয় সদস্য হয়ে থাকবে বরাবর।’’
সোমবার রাতে ওপরা উইনফ্রের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে গোটা দুনিয়া স্তম্ভিত হয়ে শুনেছে হ্যারি আর মেগানের কথা। বর্ণবৈষম্য থেকে শুরু করে মেগানের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে অবহেলা, অপমান, তাঁকে চোখের জলে হেনস্থা করার মতো একের পর এক অভিযোগে ব্রিটেনের রাজপরিবারকে কাঠগড়ায় তুলেছেন তাঁরা। এক কোটিরও বেশি ব্রিটেনবাসী টিভির পর্দায় তার সাক্ষী। সেই সাক্ষাৎকারকে কেন্দ্র করে কার্যত দু’ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে দেশবাসী। এক দল রাজপরিবারের সমর্থক এবং অন্যেরা বিপক্ষে। সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে জোর চর্চা। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। তবে লেবার পার্টির নেতা কেয়ার স্টারমার বাকিংহামের কাছে তদন্তের আর্জি জানিয়েছেন। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মুখপাত্র জানিয়েছেন, মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলার সাহস যে-ই দেখান না-কেন, তাঁর প্রশংসা করেছেন প্রেসিডেন্ট। ঘরের মেয়ে মেগানের পাশে দাঁড়িয়েছেন হিলারি ক্লিন্টনও।
শ্বশুর-শাশুড়ি, দুই ছেলে, পুত্রবধূর সাধারণ যৌথ পরিবারে এই ধরনের অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ হয়তো নতুন নয়। তা বলে ব্রিটিশ রাজপরিবারেও একই ঘটনা? প্রশ্ন, ব্রিটেনবাসীর ভালবাসার রাজপ্রাসাদে সত্যিই কি এ সব ঘটেছিল? নাকি মেগানের সব অভিযোগ মিথ্যে? মঙ্গলবার রাতের মধ্যেই উত্তর জানাতে চাপ বাড়ছিল রাজপরিবারের উপরে। রাতেই এল রানির বিবৃতি।