পূর্ব ইউক্রেনের শহরে আকাশপথে রুশ হামলা হয়েছে। রয়টার্সের তোলা ফাইল চিত্র।
ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ৩৬ ঘণ্টা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সে দেশের পূর্ব দিকে হামলা চালাল রুশ সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবার সাময়িক ভাবে ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ রাখার ঘোষণা করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যদিও এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পূর্ব ইউক্রেনের শহরে আকাশপথে রুশ হামলার কথা জানিয়ে সাইরেন বেজে ওঠে।
জুলিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ৬ ও ৭ জানুয়ারি বড়দিন পালন করেন খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের রক্ষণশীলরা। রাশিয়া এবং ইউক্রেনেও তা পালিত হয়। ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই প্রথম সাময়িক ভাবে যুদ্ধবিরতির কথা জানিয়েছিলেন পুতিন। যদিও সাময়িক যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত পুতিনের ঘোষণা নিয়েই সংশয় প্রকাশ করেছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি। তাঁর দাবি ছিল, ‘নতুন উদ্যমে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে এই ছক’ কষেছে রাশিয়া। বৃহস্পতিবার জ়েলেনস্কি বলেছিলেন, ‘‘ডনবাস অঞ্চলে (পূর্ব ইউক্রেনের ডনেৎস্ক এবং লুহানস্ককে একত্রে ডনবাস বলা হয়) আমাদের সেনাদের অগ্রগতি আটকাতে ওরা বড়দিনকে ব্যবহার করছে। যাতে এই সুযোগে ওরা সামরিক যন্ত্রপাতি, অস্ত্রশস্ত্র এবং রসদ আনতে পারে। আমাদের কাছাকাছি জড়ো করতে পারে (সেনার) লোকজন।’’
জ়েলেনস্কির সুর শোনা গিয়েছে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের কণ্ঠে। বাইডেন বলেছিলেন, ‘‘আমার মনে হয়, (পুতিন) অক্সিজেনের পাওয়ার চেষ্টা করছেন।’’ বাইডেনের দাবি ছিল, বড়দিন এবং নববর্ষের ইউক্রেনের হাসপাতাল, নার্সারি এবং গির্জাগুলিতে বোমার হামলা চালানোয় তৈরি পুতিন। ওয়াশিংটনের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্রও নেড প্রাইসেরও মন্তব্য ছিল, ‘‘এই ঘোষণার পিছনে আসল উদ্দেশ্যে নিয়ে অতি সামান্যই আস্থা রয়েছে।’’ তাঁর মতে, ‘‘যুদ্ধবিরতির ঘোষণাটি শুনে মনে হচ্ছে, বিশ্রাম নিয়ে আবার নিজেদের একজোট হওয়ার চক্রান্ত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy