নিরাপত্তার দায়িত্বে সিঙ্গাপুরের গোর্খা বাহিনী। ছবি: রয়টার্স।
ঐতিহাসিক দিন। সব কিছু ঠিক থাকলে ১২ জুন সাক্ষাৎ হচ্ছে দুই শাসকের। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উনের। আর ওই ঐতিহাসিক দিনে নেপালের যোদ্ধাবাহিনী গোর্খারাই সামলাবেন নিরাপত্তার দায়িত্ব। দুই নেতার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বাহিনী ছাড়াও বিশেষ দায়িত্ব পালন করবে ওই গোর্খা বাহিনী।
পরনে বর্ম, হাতে বেলজিয়ামের তৈরি বিশেষ স্কার কমব্যাট রাইফেল এবং পিস্তল-সহ বৈঠকের দিন নিরাপত্তা নিয়ে সদাসতর্ক থাকবে গোর্খা বাহিনী। দুই নেতার নিরাপত্তার জন্য গোর্খা বাহিনীর কাছে থাকবে খুকরি এবং পায়ের হোলস্টারে অ্যাসল্ট রাইফেলও।
আরও পড়ুন : ইফতার পার্টির আয়োজন করছেন ট্রাম্প, সঙ্গে নৈশভোজও
আরও পড়ুন : ট্রাম্প-কিম ঐতিহাসিক বৈঠক ১২ জুন, সিঙ্গাপুরে
সিঙ্গাপুরের এলিট পুলিশের বিশেষ গোর্খাবাহিনীই রয়েছে এই দায়িত্বে। সম্মেলন স্থান, দুই নেতার যাত্রাপথ, রাস্তা, হোটেলেও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন তাঁরা। এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব জিম ম্যাটিসের বৈঠকের সময়ও নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন গোর্খা নিরাপত্তাকর্মীরাই। এমনিতে নিরাপত্তার দায়িত্বে গোর্খা বাহিনীদের খুব একটা চোখে পড়ে না সিঙ্গাপুরে। তবে কয়েক দিন ধরেই সাংরি-লা হোটেলকে নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে রেখেছে তারা।
হোটেলের সামনে কড়া প্রহরা গোর্খাবাহিনীর। ছবি: রয়টার্স
সাধারণত বিশেষ কোনও বৈঠকে নিরাপত্তার খাতিরেই গোর্খাবাহিনীর সাহায্য নেওয়া হয়। ট্রাম্প-কিমের ঐতিহাসিক বৈঠকে তাই নিরাপত্তার ঘেরাটোপ তৈরি করবেন সুদূর নেপালের গোর্খারাই।
সিঙ্গাপুরের সশস্ত্র বাহিনীর তরফে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ টিম হাক্সলি বলেন, ‘‘নিরাপত্তার দিক থেকে সিঙ্গাপুর অন্যতম সেরা। গোর্খা বাহিনী অত্যন্ত সুকৌশলী। বিশেষ পরিস্থিতিতে কাজ করার প্রশিক্ষণও রয়েছে তাঁদের।’’ তাঁর কথায়, ‘‘খুকরিই গোর্খাবাহিনীর অন্যতম অস্ত্র। খুকরি ছাড়া কোনও রকম অভিযানের দায়িত্বই তারা পালন করে না। যত বারই অস্ত্রটি খাপ থেকে বের করতে হবে, তত বারই রক্ত ঝরাতে হবে, এমনটাই নিয়ম রয়েছে তাদের।’’ বিশেষজ্ঞদের দাবি, গোর্খা বাহিনীকে দিয়ে ইতিমধ্যেই ‘ট্রায়াল রান’ দেওয়া হয়েছে সিঙ্গাপুরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy