মায়ানমারের পর এ বার জাপান। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দক্ষিণ জাপান। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণ সংস্থা জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৪। ভূমিকম্পের উৎসস্থল কিউসু দ্বীপের কুমামোতে শহর। মাটির তলায় ২৩ কিলোমিটার গভীরে। তবে সুনামির কোনও আশঙ্কা এখনই করা হচ্ছে না।
পুলিশ জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পর আহত ৪৫ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বহু এলাকায় ভেঙে পড়েছে ঘর-বাড়ি। ধ্বংসস্তূপের তলায় মানুষ চাপা পড়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কাও রয়েছে। প্রথমবার কম্পনের ৪০ মিনিট বাদে ফের ৫.৭ কম্পাঙ্কের ভূমিকম্প টের পাওয়া যায়।
ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের কাছেই মাসিকি শহর। বিপর্যস্ত এই গ্রামটির বাসিন্দা তাকাহিকো মোরিতা তাঁর ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানালেন। তাঁর বর্ণনায়, ‘‘হঠাৎ প্রচণ্ড নড়ে উঠল গোটা বাড়িটা। মেঝেতে ভেঙে পড়ল বইয়ের তাক, আসবাবপত্র।’’ তিনি জানিয়েছেন, প্রায় ৩০ সেকেন্ড ধরে ওই কম্পনের টের পাওয়া যায়। আশপাশের কয়েকটি বাড়ি-ঘর গুঁড়িয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় জল ও বিদ্যুৎ সরবরাহ। ভিডিও ফুটেজেও দেখা গিয়েছে, অন্ধকারে ঢেকে গিয়েছে গোটা শহর। রাস্তায় ছড়িয়ে পাথরের চাঁই। ভেঙে পড়েছে বাড়ির জানলা-দরজার কাচ। দমকল সূত্রের খবর, বিদ্যুতের তার ছিড়ে কোনও কোনও জায়গায় আগুনও লেগে যায়। ভূমিকম্পের উৎসস্থল থেকে মাত্র ১২০ কিলোমিটার দূরে দেশের একমাত্র সক্রিয় পারমাণবিক চুল্লি — সেনদাই। তবে আজকের ভূমিকম্পে সেটির কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছেন জাপানের মুখ্য সচিব।