প্রতীকী ছবি।
ফেসবুকে মাত্র একটি ক্লিক। আর তাতেই লক্ষ লক্ষ গ্রাহকের হাতের নাগালে চলে আসছে তালিবান, লস্কর-ই-জাঙ্গভি-র মতো একাধিক জঙ্গি সংগঠন। রয়েছে বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীও। রিপোর্ট বলছে, সাম্প্রদায়িক ভাবনা উসকে দিয়ে এরা দলে টানছে তরুণ প্রজন্মকে। তার জন্য তৈরি হয়েছে একাধিক ফেসবুক পেজ, গ্রুপ এবং ইউজার প্রোফাইল। তার মধ্যে বেশ কিছু সরাসরি জঙ্গি সংগঠনগুলির সঙ্গে যুক্ত। বাকিগুলি চালায় এই সংগঠনেরই বাছাই করা কিছু প্রতিনিধি। পাকিস্তানে এমন সাইটের সংখ্যা প্রায় ৬৪। মঙ্গলবার এক নির্দেশিকা জারি করে তার মধ্যে অন্তত ৪১টি সাইট নিষিদ্ধ করল পাক সরকার। জঙ্গি ভাবাবেগে রাশ টানতেই এই পদক্ষেপ।
একটি পাক সংবাদপত্র সূত্রে খবর, সব ক’টিই প্রকাশ্য সাইট। গ্রাহক সংখ্যাও অগণিত। প্রত্যেকটিই নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রেখে চলে। চলে গোপন তথ্য আদানপ্রদান। সাইটগুলিকে মাধ্যম করে জঙ্গি প্রশিক্ষণ ও অস্ত্রচালনা শিক্ষার মতো একাধিক রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপও চালায় সংগঠনের সদস্যেরা। এই সূত্র ধরেই দেশের গণ্ডি পেরিয়ে এদের নেটওয়ার্ক পৌঁছে গিয়েছে বিশ্ববাজারে। সাইটগুলির সঙ্গে যোগ রেখে চলে বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী। জড়িত আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী একাধিক জঙ্গি সংগঠনও।
রীতিমতো ঢাকঢোল পিটিয়ে এখানে জঙ্গি নাশকতার প্রচার চলে। জঙ্গি নেতাদের বক্তব্যকে ছড়িয়ে দিতে নিয়মিত আপডেট হয় নানা অডিও ও ভিডিও। বন্দি নেতাদের মুক্তির জন্য চলে নানা আলোচনাও। সাইটগুলির গ্রুপে সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর জন্য রয়েছে একাধিক প্রশিক্ষিত সদস্য। যারা সংগঠনের মতাদর্শ জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে তৎপর।
আরও পড়ুন: জাপানের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল উত্তর কোরিয়া, তীব্র প্রতিক্রিয়া টোকিওর
সূত্রের খবর, প্রত্যেকটি সাইটেই রয়েছে ১০০টিরও বেশি পেজ এবং গ্রুপ। রয়েছে স্বতন্ত্র ইউজার প্রোফাইলও। সবচেয়ে বেশি কার্যকরী সাইটগুলি হল— আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত। এর রয়েছে ২০০টিরও বেশি পেজ ও গ্রুপ। ১৬০টি পেজ রয়েছে জেই-সিন্ধ মুত্তাহিদা মাহাজ নামক সাইটটির। সিপাহ-ই-সাহাবায় রয়েছে ১৪৮টি পেজ। বালুচিস্তান স্টুডেন্ট অরগানাইজেশন আজাদের ৫৪টি এবং সিপাহ-ই-মহম্মদের ৪৫টি পেজ। বাকি সাইটগুলি ফেসবুকে তুলনায় কম। এগুলি হল-লস্কর-ই-জাঙ্গভি, তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি), তেহরিক-ই-তালিবান-সোয়াট, তেহরিক-ই-নিফাজ-এ-সারিয়াত-এ-মহম্মদি, জামাত-উল-আহরার, ৩১৩ ব্রিগেড ছাড়াও সিয়ার নিজস্ব একাধিক সাইট। ইংরেজির থেকে উর্দু ও রোমান ভাষাতেই এরা বেশি স্বচ্ছন্দ। তাই এই দুই ভাষাতেই চলে তথ্য আদানপ্রদান। সে ক্ষেত্রে সিন্ধি এবং বালোচ ভাষায় প্রচার অনেক কম। সরকারি সমীক্ষা বলছে, ২০১৫-র পর থেকে ওই ফেসবুক পেজগুলিতে ভিউয়ারের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। ২০১৬-র জুলাই থেকে ডিসেম্বরে রিকোয়েস্ট এসেছে শতাধিক। যেখানে ২০১৫-এ এই সংখ্যা ছিল শতকরা ৬৪ থেকে ৬৮ শতাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy