ভুয়ো খবর, গুজব, বিদ্বেষ রুখতে ভারত সরকার বারবার বলেছে ফেসবুককে। তার উপর আবার সম্প্রতি বিজেপির ‘ঘৃণা মন্তব্য’ গুরুত্ব না দেওয়ার অভিযোগে সরগরম রাজনীতি। অনেকেই মনে করেন, ওই বিতর্কের জেরেই ফেসবুকের চাকরি ছেড়েছেন সংস্থার ভারতীয় ‘পলিসি হেড’ আঁখি দাস। তার মধ্যেই আমেরিকার ভোটের সময় ভুয়ো তথ্য ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপ কর্ণধার মার্ক জাকারবার্গ। সম্ভাবনা রয়েছে অস্থিরতারও। তাই এই ভোট সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলির কাছে হতে চলেছে বড় পরীক্ষা, বলছেন ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপ কর্ণধার জাকারবার্গ।
আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলগণনা ৩ নভেম্বর। তার এক সপ্তাহ আগে থেকে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি নাগরিকদের ভোট দানে নিরুৎসাহ করে, এমন প্রচার বা পোস্টের বিরুদ্ধেও তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছিলেন জাকারবার্গ। কিন্তু তার পরেও এমন একটি বিজ্ঞাপন সামনে চলে আসে, যা ভোটগণনার পরে আসার কথা। তা নিয়েও কম বিতর্ক হয়নি। তার মধ্যে জাকারবার্গের এই মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ।
২০১৬ সালে আগের বার আমেরিকার নির্বাচনের সময় অভিযোগ ছিল, সোশ্যাল মিডিয়ায় আমেরিকার ভোটকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছে রাশিয়া, চিনের মতো শক্তি। এ বারও তেমন কিছু সামনে চলে আসতে পারে— এই আশঙ্কা থেকেই কি আগেভাগে আশঙ্কা প্রকাশ করে রাখলেন ফেসবুক কর্তা? এমন প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।