খুলতে চলেছে ‘ব্রেক্সিট রুট’। হয়তো কালই! যদি না শেষ মুহূর্তে বেঁকে বসে পার্লামেন্ট।
শুরু হয়ে গিয়েছে ভোটাভুটি। দু’কক্ষ মিলিয়ে আজ পার্লামেন্টের তরফে চূড়ান্ত অনুমোদন মিললে আগামী কাল, মঙ্গলবার থেকেই হয়তো ব্রেক্সিট নিয়ে চূড়ান্ত পদক্ষেপ করতে চলেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছেড়ে বেরিয়ে আসার জন্য ব্রিটেনকে লিসবন চুক্তির ৫০ নম্বর ধারা প্রয়োগ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, মার্চ শেষ হওয়ার আগেই তিনি এই প্রক্রিয়া শুরু করতে চান। কিন্তু এখনই তা সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত টেরেসারই ঘনিষ্ঠ মহল।
ধন্দটা ছিলই। কিন্তু দিনের শেষে দেখা গেল হাউস অব কমন্সের ভোটে ব্রেক্সিটের প্রথম গেরোটা টপকেই গেল ব্রিটেন। হাউস অব লর্ডস চেয়েছিল প্রস্তাবিত বিলটিতে দু’টি সংশোধনী আনতে। প্রথমত, ব্রেক্সিটের পরেও ব্রিটেনে বসবাসকারী ইউরোপীয় ইউনিয়ন-ভুক্ত যে কোনও দেশের নাগরিকের অধিকার রক্ষা করতে হবে। আর দ্বিতীয়ত— পরে যদি ইইউ-এর সঙ্গে কোনও চুক্তি করতে হয়, সে ক্ষেত্রেও শেষ কথা বলবে পার্লামেন্টই। আশঙ্কা ছিল এমপি-দের একটা বড় অংশ এ ক্ষেত্রে বেঁকে বসতে পারে। ভোটের ফলেও দেখা গেল, ওই সংশোধনী মানতে রাজি হননি হাউস অব কমন্সের সংখ্যাগরিষ্ঠ এমপি-রা।
আরও পড়ুন: সিরিয়ায় শিশুদের জন্য ভয়াবহ ২০১৬, জানাচ্ছে ইউনিসেফ রিপোর্ট
আইনে পরিণত হওয়ার ক্ষেত্রে বিলটি এ বার যাচ্ছে হাউস অব লর্ডসে। এখানেও সম্মতি প্রয়োজন। কিন্তু তা মিলবে কী? প্রধানমন্ত্রীর দফতরের একটি সূত্র বলছে, বিল পাশ হচ্ছে ধরে নিয়েই এগোতে চাইছেন তাঁরা। পার্লামেন্ট অনুমোদন দিলে ব্রেক্সিট আইনে সিলমোহর দেবেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। আর তার পর পুরো প্রক্রিয়া শেষ করার ক্ষেত্রে দু’বছর সময় পাবে ব্রিটেন। এরই মধ্যে আগের সব চুক্তি গুটিয়ে ফেলতে হবে। এই সময়সীমার মধ্যে আদৌ তা সম্ভব কি না— জল্পনা থাকছেই।
এরই মধ্যে আবার জটিলতা বাড়ছে স্কটল্যান্ডের ব্রিটেন ছাড়তে চাওয়া নিয়েও। ‘স্বাধীনতা’র দাবিতে ফের গণভোট চেয়ে আজই পার্লামেন্টের কাছে আর্জি জানিয়েছেন সেখানকার ফার্স্ট মিনিস্টার। গণভোটে সায় মিললে স্বতন্ত্র দেশ হিসেবে স্কটল্যান্ড ইউরোপীয় ইউনিয়নেই থেকে যেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy