Advertisement
০৪ অক্টোবর ২০২৩
Donald Trump

‘সুপার কম্পিউটারে রিগিং’ না মানায় ফের টুইট করে চাকরি খেলেন ট্রাম্প

গত সপ্তাহেই প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এস্পারকে ছেঁটে ফেলছিলেন তিনি।

ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স

ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২০ ১২:৪৬
Share: Save:

তাঁর বিরুদ্ধ মত পোষণ করলে কী হয়, তা মোটের উপর সকলেরই জানা। এ বার ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর সাইবার ও ইনফ্রাস্ট্রাকচার সিকিওরিটি প্রধান ক্রিস ক্রেবসকে ছেঁটে ফেলে ফের সেই বার্তা দিলেন।

গত সপ্তাহেই প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এস্পারকে ছেঁটে ফেলছিলেন তিনি। কারণ, তিনি মনে করেছেন, এস্পার যথেষ্ট ‘অনুগত’ নন। শোনা যাচ্ছে, ট্রাম্প যখন শেষ পর্যন্ত হোয়াইট হাউস ছাড়বেন, তার আগে সিআইএ ডিরেক্টর গিনা হ্যাস্পেল এবং এফবিআই-এর ডিরেক্টর ক্রিস্টোফার ওরেইকেও হয়তো তাড়িয়ে ছাড়বেন।

ভোটে হেরে গেলেও এখনও তা মানতে চাইছেন না ট্রাম্প। একবার মানছেন বাইডেন জিতেছেন, তো পরক্ষণেই মত বদলে বলছেন ‘ভোট চুরি হয়েছে’, ‘ব্যাপক রিগিং হয়েছে’। ঘটনাচক্রে, ভোট পরিচালনার দায়িত্বে যে কর্মকর্তা ছিলেন তিনি সম্প্রতি বলেছেন, এই নির্বাচন আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে ‘নিরাপদ’ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তারপরও ট্রাম্প দাবি করেছেন, ভোটে ব্যাপক ‘কারচুপি’ হয়েছে। ট্রাম্পের সমর্থনে তাঁর ভক্তরাও রাস্তায় নেমেছেন। মিছিল করছেন। তাদের তাতাতে ডন আরও বেশি করে বলছেন ভোটে জালিয়াতির কথা। ট্রাম্প গদি ছাড়া নিয়ে শেষ পর্যন্ত কী নাটক করতেপারেন, আমেরিকার রাজনৈতিক মহলে তা নিয়ে এখন জল্পনা তুঙ্গে। এক দিকে দেশে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা, তার মধ্যে রাজনৈতিক অচলাবস্থা— এই জোড়া ফলায় বিদ্ধ বর্তমানে মার্কিন প্রশাসন। তারই মধ্যে, একের পর এক কর্তাকে ছেঁটে ফেলছেন তিনি। তালিকায় শেষতম সংযোজন ক্রিস ক্রেবস।

আরও পড়ুন: করোনাভ্যাক নিরাপদ, দ্রুত প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়তে সক্ষম, দাবি চিনা সংস্থা সাইনোভ্যাকের

আগের অনেকের মতোই ক্রেবসও তাঁর চাকরি যাওয়ার খবর জানতে পেরেছেন ট্রাম্পের টুইটে। তবে, মাইক্রোসফটের প্রাক্তন ওই কর্তার এ নিয়ে কোনও ক্ষোভ নেই। গত দু’বছর ধরে তিনি ট্রাম্পের ভোটের জন্য তৈরি উইং চালাচ্ছিলেন। মার্কিন নির্বাচনে রুশ খবরদারি রুখতে তাঁকে নিয়োগ করেছিলেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের অভিযোগ ছিল, আমেরিকার নির্বাচনে বিভিন্ন রুশ সংস্থা আমেরিকাবাসীকে প্রভাবিত করেছে। ওই উইংয়ের কাজ ছিল আমেরিকা নির্বাচনে ইন্টারনেটের মধ্যে দিয়ে ট্রাম্প-বিরোধী প্রচার যতটা সম্ভব আটকানো।

কেন ক্রেবসকে ছেঁটে ফেলা হল?

হোয়াইটহাউস সূত্রে খবর, ট্রাম্প যে নিরন্তর ভোটে ‘কারচুপি’ ও ‘জালিয়াতি’-র তত্ত্ব খাড়া করছেন, তাকে সমর্থন জানাননি ক্রেবস। ট্রাম্প দাবি করে আসছেন, দুটো সুপার কম্পিউটার ‘হ্যামার’ এবং ‘স্কোরকার্ড’ ভোটের ফল বদল করার ব্যাপারে বড় ভূমিকা নিয়েছে। ক্রেবস বলেছিলেন, তেমন কোনও সুপার কম্পিউটার নেই। এটা বলার ‘অপরাধেই’ তাঁকে এক টুইটে ছেঁটে ফেললেন ট্রাম্প।

আরও পড়ুন: এত বাধা এলে আরও মৃত্যু হবে: বাইডেন​

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE