Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

তোপ আমেরিকার বিতর্কিত দ্বীপে চিনের কামান

দক্ষিণ চিন সাগরের ডুবো পাহাড়ের মাথায় চিনের বিমানঘাঁটিতে এ বার দেখা মিলল সারি সারি কামানের। উপগ্রহ চিত্রে সেই ছবি ধরা পড়েছে বলে দাবি করে অসন্তোষ প্রকাশ করল আমেরিকা। চিনের এই কর্তৃত্ব ফলানোর চেষ্টা যে মোটেও তারা মেনে নেবেন না, তা-ও স্পষ্ট করে দিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব অ্যাশটন কার্টার।

সংবাদ সংস্থা
সিঙ্গাপুর শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০১৫ ০২:৩৭
Share: Save:

দক্ষিণ চিন সাগরের ডুবো পাহাড়ের মাথায় চিনের বিমানঘাঁটিতে এ বার দেখা মিলল সারি সারি কামানের। উপগ্রহ চিত্রে সেই ছবি ধরা পড়েছে বলে দাবি করে অসন্তোষ প্রকাশ করল আমেরিকা। চিনের এই কর্তৃত্ব ফলানোর চেষ্টা যে মোটেও তারা মেনে নেবেন না, তা-ও স্পষ্ট করে দিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব অ্যাশটন কার্টার।

এশিয়ার দেশগুলির নিরাপত্তা বিষয়ক একটি সম্মেলনে যোগ দিতে সিঙ্গাপুরে এসে শনিবার কার্টার জানান, আন্তর্জাতিক আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে গত ১৮ মাসে দক্ষিণ চিন সাগরের একটি ডুবো পাহাড়ের মাথায় কৃত্তিম একটি দ্বীপ তৈরি করেছে চিন। সেই দ্বীপে প্রায় দু’হাজার একরের একটি বিমানক্ষেত্রও তৈরি করা হয়েছে। এ বার সেখানে দেখা মিলেছে সারি সারি কামানের।

আমেরিকা জানিয়েছে, এক মাস আগে উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে, ওই দ্বীপে রয়েছে চিনের কামান। সেই খবর প্রকাশও করে কয়েকটি মার্কিন সংবাদ মাধ্যম। যদিও উপগ্রহ চিত্রে ওই ছবি ধরা পড়ার পরেই দ্বীপ থেকে অস্ত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে দাবি আমেরিকার। কার্টার জানান, দক্ষিণ চিন সাগর সংলগ্ন দেশগুলির অনেকেই ওই এলাকার অধিকার দাবি করে। কিন্তু, গত এক বছরে যে দ্বীপটি চিন তৈরি করেছে তার আয়তন দাবিদার দেশগুলির মিলিত আয়তনের চেয়েও বেশি! ভিয়েতনাম, ফিলিপিন্সের মতো কয়েকটি দেশও সমুদ্রে কৃত্রিম ভাবে দ্বীপ তৈরি করেছে। তবে কার্টারের কথায়, ‘‘এর মধ্যে একটাই দেশ সব চেয়ে কম সময়ে সব চেয়ে বেশি দূর এগিয়ে গিয়েছে। সেটা চিন।’’ তিনি আরও জানান, এই নিয়ে চিনের কোনও সংঘাত চায় না আমেরিকা। তবে নির্মাণ ঠেকাতে চিনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতেই পারে আমেরিকা।

প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ চিন সাগরের ওই এলাকায় বিমানক্ষেত্র তৈরির প্রতিবাদ করেছে চিনের পার্শ্ববর্তী দেশগুলি। সম্মেলনে কার্টার নির্মাণ বন্ধের আর্জি জানিয়ে মনে করিয়ে দিয়েছেন, আন্তর্জাতিক আইনের তোয়াক্কা না করে সমুদ্রের ডুবো পাহাড়ে বিমানক্ষেত্র এবং অস্ত্রের উপস্থিতি মানবে না আমেরিকা। আগের মতোই ওই এলাকায় মার্কিন যুদ্ধবিমান ও রণতরী সক্রিয় থাকবে। প্রসঙ্গত, ওই দ্বীপে কামানের অস্তিত্ব মেলার দিন কয়েক আগেই এলাকা থেকে মার্কিন বিমানকে সরানোর আর্জি জানিয়েছিল চিন। যদিও চিনের বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিনিধি হু চুইংয়ের দাবি, ‘‘চিনের এলাকাতে আইন মেনেই নির্মাণ হচ্ছে। এটা যুক্তিসঙ্গত। এতে কোনও দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না। এই নিয়ে আমাদের ভর্ৎসনার কোনও জায়গা নেই।’’ তবে আমেরিকা যে সহজে জমি ছাড়ছে না তা বুঝিয়ে কার্টার বলেন, ‘‘আমেরিকা ওই এলাকায় সক্রিয় থাকবে। এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE