Advertisement
২০ মে ২০২৪

জঙ্গি নিধনে সিরিয়ায় নজরদারি মার্কিন বিমানের

ইরাকের পর এ বার সিরিয়ায় জঙ্গি নিধনে তৎপর হল আমেরিকা। আজ সকাল থেকে সিরিয়ার আকাশে টহল দিতে শুরু করেছে মার্কিন বিমান। হোয়াইট হাউস সূত্রে জানানো হয়েছে, জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসআইএস-এর (ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া) বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে পড়শি দেশের মতোই সিরিয়াতেও নজরদারি এবং নিয়ন্ত্রিত বিমান হামলা চালানোর ছাড়পত্র দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা।

সংবাদ সংস্থা
দামাস্কাস ও ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০১৪ ০২:৩৩
Share: Save:

ইরাকের পর এ বার সিরিয়ায় জঙ্গি নিধনে তৎপর হল আমেরিকা। আজ সকাল থেকে সিরিয়ার আকাশে টহল দিতে শুরু করেছে মার্কিন বিমান। হোয়াইট হাউস সূত্রে জানানো হয়েছে, জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসআইএস-এর (ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া) বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে পড়শি দেশের মতোই সিরিয়াতেও নজরদারি এবং নিয়ন্ত্রিত বিমান হামলা চালানোর ছাড়পত্র দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা।

গত কালই সেনাকে হটিয়ে উত্তর সিরিয়ার তাবকা বিমান ঘাঁটি দখল করেছে জঙ্গিরা। এখনও রাকা-সহ উত্তরের একটা বড় এলাকা দখল করে রেখেছে আইএসআইএস। সেখানে কার্যত সরকারের কোনও নিয়ন্ত্রণই নেই। দেশকে জঙ্গিমুক্ত করতে গত কালই রাষ্ট্রপুঞ্জের সাহায্য প্রার্থনা করেছিলেন বিদেশমন্ত্রী ওয়ালিদ মোয়ালেম। তিনি এ-ও জানিয়েছিলেন, রাজধানী দামাস্কাসের সঙ্গে আলোচনা না করে মার্কিন হামলা কোনও মতেই বরদাস্ত করবে না সরকার। সিরিয়ায় মার্কিন বিমান হামলার তীব্র বিরোধিতা করে প্রেসিডেন্ট বাসার আল আসাদও জানান, মার্কিন বিমান হামলাকে তাঁরা আক্রমণ বলেই গণ্য করবেন। যদিও সম্প্রতি দেশকে জঙ্গিদখল মুক্ত করতে সিরিয়ার জাতীয় বিরোধী জোট আমেরিকার হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়েছিল। বিরোধী জোটের নেতা হাদি আল-বাহরা বলেছিলেন, “মানবতার খাতিরে রাষ্ট্রপুঞ্জ এবং আমেরিকাকে আমাদের অনুরোধ, কুর্দিস্তানে যে লড়াই শুরু হয়েছে, তার পাশাপাশি সিরিয়া নিয়েও ভাবনাচিন্তা করুক তারা।” সিরিয়া সরকারের বিরোধিতা সত্ত্বেও আজ আকাশ পথে নজরদারি শুরু করেছে মার্কিন সেনা। যদিও সেখানে সেনা নামানোর জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।

আজ প্রতিরক্ষা দফতরের এক মুখপাত্র কেটলিন হেডেন বলেন, “সিরিয়ায় সামরিক অভিযান করার কোনও নির্দেশ প্রেসিডেন্ট এখনও দেননি। আমাদের লক্ষ্য মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়া এবং সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে আমরা কোনও ভৌগোলিক সীমানার ধার ধারি না।”

মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, ইরাক এবং সিরিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল একটি সুন্নি গোষ্ঠীর ছদ্মনামে দখল করে রেখেছে আইএসআইএস। বিমান এবং ড্রোনের নজরদারিতে এমন সব তথ্যই আপাতত জোগাড় করছে সেনা।

এ দিকে, আইএসআইএস এর হাতে খুন হওয়া মার্কিন সাংবাদিক জেমস ফোলির ভিডিও প্রকাশ এবং আমেরিকায় নাশকতার হুমকি দেওয়ার পর সরব হয়েছে রিপাবলিকানরা। অভিযোগ, আইএসআইএস-নিধনে এখনও পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ করেননি ওবামা। তার পরেই কাল রাতে সিরিয়ায় নজরদারির সিদ্ধান্ত নেয় মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

us fighter jet isis syria
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE