হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় মামলায় ধাক্কা খেল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকার। বিদেশি ছাত্রদের ভর্তির বিষয়ে বিধিনিষেধ আরোপ করার সরকারি সিদ্ধান্তে শুক্রবার অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছেন বস্টনের ফেডারেল আদালত।
বিদেশি ছাত্রদের ভর্তির বিষয়ে বিধিনিষেধ আরোপ করায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকারের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করেছিলেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তারই ভিত্তিতে নির্দেশ দিল আদালত। ট্রাম্প সরকার বিদেশি পড়ুয়া ভর্তির ক্ষেত্রে বৃহস্পতিবার ছ’দফা শর্ত দিয়েছিল হার্ভার্ড কর্তৃপক্ষকে। নির্দেশিকায় জানানো হয়েছিল, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বিদেশি পড়ুয়াদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য দিলে তারা আবার নতুন শিক্ষাবর্ষে বিদেশি পড়ুয়াদের ভর্তি নিতে পারবে।
এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার হার্ভার্ডের পরিচালন সমিতির প্রেসিডেন্ট অ্যালান এম গার্বার বলেন, ‘‘সরকারের পদক্ষেপ বেআইনি এবং অযৌক্তিক।’’ ট্রাম্প সরকারের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ চেয়ে তাঁরা ইতিমধ্যেই আদালতে আইনি আবেদন দাখিল করেছেন বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। এর পরেই বিদেশি পড়ুয়া ভর্তির উপর ট্রাম্প সরকারের জারি করা বিধিনিষেধ স্থগিত করেছে বস্টনের ফেডারেল আদালত। প্রসঙ্গত, ইজ়রায়েল-হামাস সংঘর্ষের আবহে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ইহুদি বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে ওই পদক্ষেপ করেছিল হোয়াইট হাউস।
ঘটনাচক্রে, শুক্রবার সকালেও বিদেশি পড়ুয়াদের ভিসা দেওয়া বন্ধ নিয়ে ট্রাম্প সরকারের আর এক নির্দেশিকাকে স্থগিত করেছিলেন ক্যালিফর্নিয়ার নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টের ফেডারেল বিচারক জেফ্রি হোয়াইট। হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন যে সব বিদেশি পড়ুয়া পড়াশোনা করছেন, তাঁদের দ্রুত অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার ‘ফরমান’ দিয়েছিল ওভাল অফিস। নয়তো তাঁদের ভিসা বাতিল করা হবে বলে গত ২২ মে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন আমেরিকার নিরাপত্তা সচিব ক্রিস্টি নোয়াম। কিন্তু বিচারক হোয়াইট অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে জানান, এ ভাবে পড়ুয়াদের ভিসা বাতিল করা যাবে না। প্রসঙ্গত, ৩৮৯ বছরের পুরনো হার্ভার্ডের ২০ হাজার পড়ুয়ার প্রায় ২৮ শতাংশ বিদেশি।