Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
interest rate

Interest rate: ২২ বছরে সুদের হারে সর্বাধিক বৃদ্ধি, মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে সিদ্ধান্ত আমেরিকার

আমেরিকায় মূল্যবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা যেখানে ২ শতাংশ, গত মার্চে তা ছুঁয়েছে ৮.৫ শতাংশ। ১৯৮১ সালের পর থেকে যা সব চেয়ে বেশি বলে দাবি করা হচ্ছে।

সুদের হার কমাল আমেরিকা

সুদের হার কমাল আমেরিকা প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০২২ ০২:৪০
Share: Save:

মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঋণে সুদের হার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল আমেরিকার কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। বুধবার ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত মার্চে সামান্য বৃদ্ধির পরে মে-তে তা ০.৭৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নিল ফেডেরাল রিজার্ভ। গত ২২ বছরের হিসাবে এটাই সর্বোচ্চ বলেই দাবি করছেন আমেরিকার অর্থনীতি সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞেরা। ঘটনাচক্রে, মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে যুঝতে বুধবার ঋণে সুদের হার তিন বছর পর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কও। অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষ ব্যাঙ্কও প্রায় এক দশক পর সুদের হার বাড়িয়েছে।

আমেরিকায় মূল্যবৃদ্ধি বাড়তে বাড়তে গত ৪০ বছরের হিসাবে সর্বাধিক হয়েছে। চলতি আর্থিক বর্ষে আমেরিকায় মূল্যবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা যেখানে ২ শতাংশ ছিল, সেখানে গত মার্চে তা ছুঁয়েছে ৮.৫ শতাংশ। ১৯৮১ সালের পর থেকে যা সব চেয়ে বেশি বলে দাবি করা হচ্ছে। এই মূল্যবৃদ্ধির জেরেই দেশে ক্রমাগত বাড়ছে খাদ্যপণ্য এবং জ্বালানির দাম। নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রির দাম বৃদ্ধিতে স্বাভাবিক ভাবেই চাপে রয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই পরিস্থিতিতে সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত নিল আমেরিকার ফে়ডেরাল রিজার্ভ।

প্রসঙ্গত, বুধবার ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সুদের হার ৪০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৪.৪ শতাংশ করেছে। বৃহস্পতিবার সুদের হার নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ব্রিটেনের শীর্ষ ব্যাঙ্ক ‘দ্য ব্যাঙ্ক অব ইংল্যান্ড’। মূল্যবৃদ্ধি কমাতে গত ডিসেম্বরের পর থেকে চার বার সুদের হার বাড়িয়েছে ব্রিটেন। অর্থনীতিবিদদের একাংশের অনুমান, এপ্রিলে আবারও তা বাড়ানো হতে পারে।

অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, কোভিড পরবর্তী সময় গোটা বিশ্বেই মাথাচাড়া দিয়েছে মূল্যবৃদ্ধি। রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ইউরোপ ও আমেরিকায় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির সমস্যা আরও জোরালো হয়েছে। তাই, অধিকাংশ দেশই সুদের হার বাড়িয়ে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আনার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। কারণ, সুদের হার বাড়লে সাধারণ মানুষের ঋণ নেওয়ার প্রবণতা কমবে। এর ফলে মানুষ শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতেই অর্থ ব্যয় করবে। সহজলভ্য ঋণ না পাওয়ায় কমবে বিলাসবহুল দ্রব্য কেনাকাটার প্রবণতাও। সে ক্ষেত্রে বাজারে চাহিদা কমলে দামও কমতে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

interest rate Central Bank of India Inflation rate
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE