আউটসোর্সিং-এর বিপক্ষে জোর সওয়াল শুরু করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। ট্রাম্পের সমর্থনে এবং আউটসোর্সিং-এর বিপক্ষে পথে নেমে পড়েছেন বহু মার্কিন। ছবি: রয়টার্স।
আউটসোর্সিং বন্ধ করতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সরকার যখন কঠোর পদক্ষেপ করতে চলেছে, তখন মার্কিন মুলুকের এক সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ই নিজেদের গোটা আইটি বিভাগ তুলে দিয়ে আউটসোর্সিং-এর পথে হাঁটল। সান ফ্রান্সিসকোর উইনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার আইটি বিভাগে ৭৯ জন কর্মী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৪৯ জন ছিলেন স্থায়ী কর্মী। সকলকেই ছাঁটাই করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা এইচসিএল এ বার ভারত থেকে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার আইটি অর্থাৎ তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের দেখভাল করবে।
ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার এই সিদ্ধান্ত মার্কিন মুলুকে প্রবল চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। যদিও মাত্র ৭৯টি পদের জন্য আউটসোর্সিং-এর সহায়তা নিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। বিভিন্ন মার্কিন সংস্থা যে বিপুল পরিমাণ কাজ আউটসোর্সিং-এর মাধ্যমে করিয়ে নেয়, এইচসিএল-কে দেওয়া ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার বরাত তার তুলনায় কিছুই নয়। কিন্তু যে ভাবে গোটা বিভাগের সব কর্মীকে বরখাস্ত করে সমস্ত কাজ দেখভালের বরাত ভারতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে, তার জেরেই মার্কিন নাগরিকদের একাংশ প্রবল ক্ষুব্ধ। সান ফ্রান্সিসকো-স্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয় সরকারি অর্থে পরিচালিত। এমন একটি সংস্থা কী ভাবে মার্কিন নাগরিকদের বরখাস্ত করে অন্য দেশে কাজ রফতানি করে দিতে পারে, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহল।
ট্রাম্পের সমর্থক এবং বিরোধীদের মধ্যে সংঘর্ষও চলছে আমেরিকায়। ছবি: রয়টার্স।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, ৭৯ জন কর্মীকে বরখাস্ত করার পর এক জন এইচ১বি ভিসা-ধারী ভারতীয়কে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়টি কাজে বহাল করেছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে সামান্য কিছু কাজ সামলাচ্ছেন। সিংহ ভাগ কাজটাই ভারত থেকে আউটসোর্সিং করানোর ব্যবস্থা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে ফিরে যাও! বলেই ফের ভারতীয়কে গুলি আমেরিকায়, এবার কেন্টে
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রবল বিক্ষোভ শুরু হয়ে গিয়েছে আমেরিকায়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, নিজেদের আইটি বিভাগের কাজ বিদেশ থেকে করিয়ে নিতে পারলে প্রতি বছর অন্তত ৩ কোটি ডলার বাঁচবে। গত কয়েক বছরে আইটি বিভাগের পিছনে খরচ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল বলে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার দাবি। এই বিপুল খরচ সামাল দেওয়া সম্ভব ছিল না, সেই কারণেই আইটি বিভাগের সব কাজ ভারত থেকে করিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। বলছে কর্তৃপক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy